ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণে ৫০ এতিম শিশুর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন

প্রকাশিত: ০১:১৫, ২৪ এপ্রিল ২০১৭

রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণে ৫০ এতিম শিশুর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণ করেছে ৫০ এতিম শিশু। সোমবার সকালে এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় ওইসব শিশুসহ শ্রমিকরা। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব সামনে আয়োজিত ‘গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিরাপত্তায় জিরো টলারেন্স’ শীর্ষক ওই সমাবেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিরাপত্তায় জিরো টলারেন্সনীতির মানার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংঠনের নেতারা। শ্রমিক নেতারা বলেন, অামরা বাংলাদেশে রানা প্লাজার মতো কোনো দুর্ঘটনা আর ঘটতে দেব না। এজন্য গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিরাপত্তায় আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরন করবো। নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না, কোনো আপোষ ও সমঝোতা চলবে না। উপস্থিত শ্রমিক নেতা আমিরুল হক আমিন দাবি করে বলেন, রানা প্লাজায় ওই দিন কোনো দুর্ঘটনা হয়নি, সাধারণ শ্রমিকদের হত্যা করা হয়েছে। সরকারের কাছে বিচার দাবি করে তিনি বলেন, মামলাটি এখনো বিচারাধীন রয়েছে, এ দুঘর্টনায় যারা দায়ী তাদের সবাইকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক। দুর্ঘটনায় আহত শাহানারা বেগম সেদিনের স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বলেন: আমরা সবাই একসঙ্গে বয়েলিংয়ের কাজ করছিলাম। এমন সময় আমাদের ইনচার্জ এসে বের হয়ে যেতে বললেন। ওই সময় সেসহ আর চারজন বাইরে বেরিয়ে আসায় বেঁচে যেতে পেরেছিলেন বলে জানান শাহানারা। তিনি বলেন: আমরা পাঁচজন বাদে অধিকাংশই ওইদিন মারা যান। ওই দিনে নিহত সহকর্মীদের স্মরণে অশ্রুস্বজল হয়ে পড়েন শাহানারা। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভারের রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৬ জন শ্রমিকের করুণ মৃত্যু হয়। আহত হন কয়েক হাজার শ্রমিক। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
×