ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পুন:ময়নাতদন্তের জন্য তোলা হলো মডেল রাউধার লাশ

প্রকাশিত: ১৮:৪৯, ২৪ এপ্রিল ২০১৭

পুন:ময়নাতদন্তের জন্য তোলা হলো মডেল রাউধার লাশ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ মৃত্যুর ২৬ দিন পর পুন: ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হলো রাজশাহী ইসলামি ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী মালদ্বীপের মডেল রাউধা আথিফের লাশ। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী নগরীর হেতেমখা কবরস্থান থেকে তার লাশ তোলা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পরিদর্শক আসমাউল হক জানান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রক্তিম চৌধুরীর উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফি ইকবাল ও রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আথিফ উপস্থিত ছিলেন। পরে লাশ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়। সেখানে মেডিক্যাল বোর্ড রাউধার লাশের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করবেন। আসমাউল হক বলেন, রাউধার লাশ পুন:ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জর শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়। এই বোর্ড ময়নাতদন্ত করবেন। বোর্ডের অপর দুই সদস্য হলেন, সিরাজগঞ্জর নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুব হাফিজ ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের রেডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান। এর আগে গত ৩১ মার্চ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাউধার প্রথম ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ডা. মনসুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ওই ময়নাতদন্ত করে। ওই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে রাউধা ‘গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন’ বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও রাউধার কলেজ কর্তৃপক্ষের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলা হয়। কিন্তু নিজ দেশ মালদ্বীপ থেকে আসা রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আথিফ দাবি করে আসছেন, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এই দাবিতে তিনি গত ১০ এপ্রিল রাজশাহীর আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৪ এপ্রিল মামলাটি শাহ মখদুম থানা থেকে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে লাশের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের অনুমতি পেতে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল সিআইডি। গত ১৮ এপ্রিল আদালত লাশ উত্তোলন করে পুন:ময়নাতদন্তের অনুমতি দেয়। গত ২৯ মার্চ দুপুরে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধার লাশ উদ্ধার করা হয়। তখন পুলিশ জানিয়েছিল, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে কাপড় বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে রাউধা আত্মহত্যা করে। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তার সহপাঠী সিরাত পারভীন মাহমুদ রাউধার ঝুলন্ত লাশ নামিয়ে ফেলে। মালদ্বীপের নাগরিক রাউধা আথিফের জন্ম ১৯৯৬ সালে ১৮ মে। তিনি রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। রাউধা পড়ালেখার পাশাপাশি মডেলিং করতেন। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে বিশ্বখ্যাত ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের ভারতীয় সংস্করণের প্রচ্ছদে প্রকাশিত ছবির পাঁচ মডেলের সঙ্গে রাউধাও ছিলেন।
×