নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ বেজায় বেরসিক পুলিশ! রঙ্গিন পাঞ্জাবী, মাথায় পাগড়ি আর চোখে সুরমা লাগিয়ে বরযাত্রী নিয়ে মহা-আনন্দে বরবেশে বিয়ে করতে এসেছিল, আতাবুল (৩২)।
দুপুর বেলা কনের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ারও চলছিল ব্যাপক ধুম। কিন্তু বেরসিক পুলিশ এসে সব পন্ড করে দিল। পুলিশের আগমনে বরযাত্রী এবং কনে পক্ষের লোকজন খাওয়া-দাওয়া ফেলে নিমিষেই দৌড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশের হাতে ধরা খায় বর নিজেই। কারন বর যাকে বিয়ে করতে এসেছিল, সে নিয়ামতপুর মাদ্রাসার ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী, বয়স মাত্র ১৪ বছর। নাম তার শাহনাজ বেগম।
নিয়ামতপুর ইউনিয়নের কানইল গ্রামের বেলাল হোসেনের নাবালিকা কন্যা শাহনাজ। তাকে বিয়ে করতে এসেছিল পার্শ্ববর্তী মান্দা উপজেলার কুসুম্বা ছিরুপাড়া গ্রামের ইয়াফেস আলীর পুত্র আতাবুল হক (৩২)।
এই বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম খান ফোর্সসহ বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে বরকে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করেন। ভ্রাম্যমান আদালত বরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন।
বর ও কনের পিতাসহ জড়িতরা পালিয়ে যায়। ঘটনায় কিংকর্তব্যবিমুঢ় বর আতাবুল আক্ষেপ করে সাংবাদিকদের জানায়, “অনেক টাকার ফুল দিয়ে বাড়িতে বাসরঘর সাজিয়েছিলাম। বিয়ের পরই বউকে নিয়ে বাড়ি যাব। কিন্তু বেরসিক পুলিশ বাসর ঘরের পরিবর্তে আমাকে পাঠিয়ে দিল শ্রীঘরে।