ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সোনাকাটা টেংরাগিরী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বেহাল দশা

প্রকাশিত: ০১:১১, ২৩ মার্চ ২০১৭

সোনাকাটা টেংরাগিরী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বেহাল দশা

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা) ॥ বরগুনার তালতলী উপকুলীয় সংরক্ষিত বনাঞ্চল নিশানবাড়িয়া ও নিদ্রাছকিনা নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের লীলাভুমি। এ বনাঞ্চলে রয়েছে সোনকাটা টেংরাগিরী সংরক্ষিত ইকোট্রারিজম। এখানে দাড়িয়ে সূর্য্যান্তের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। তিন দিকে সাগর ও ৯টি ক্যালেন (খাল) বেষ্টিত এ বনাঞ্চল। শীত মৌসুমে নৌ-ভ্রমনে শত শত পর্যটকরা এখানে আসে। ২০১৩ সালে ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইকোট্রারিজমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ওই সময় ইকোট্রারিজমটিতে ২টি কুমির, ৯টি হরিণ, ২৬টি শুকর ও ১টি মেছোবাঘ ছিল। বর্তমানে খাবার সরবরাহ না থাকায় শুকর, কচ্ছপ ও মেছোবাঘ ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাউন্ডারী প্রাচীর খসে যাচ্ছে। লোহার খাঁচাগুলোতে মরিচা ধরেছে। পার্কের ভিতরে বিশুদ্ধ পানির জন্য গভীর নলকূপ বসানো থাকলেও তাতে কোন পানি উঠছে না। পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থা থাকলেও শৌচাগারগুলো পরিস্কার পরিছন্নতার অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে। পর্যটকদের জন্য বসার জায়গা থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। যে কয়টি রয়েছে তা অপরিছন্ন। বন্যপ্রাণীদের জন্য নেই কোন ছাউনি। ভিতরের রাস্তার ইট খসে পরেছে। ৯টি কাঠের পুল চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। বেষ্টনীর মধ্যে শুধু ৫টি হরিণ ও ২টি কুমির আছে। বাকী বেষ্টনীতে কোন প্রাণী নেই। বেষ্টনীগুলো ফাটল ধরেছে। টেংরাগিরী (সকিনা) বিটের কর্মকর্তা সজীব কুমার কর্মকার জানান প্রাণীদের জন্য খাদ্য সরবরাহের অর্থ বরাদ্দ না থাকায় শুকুর, মেছো বাঘ ও কচ্ছপ ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন পার্ক সংস্কারের জন্য সরকারী কোন বরাদ্দ নেই।
×