অনলাইন ডেস্ক ॥ আজ তাঁরা বি-টাউনের প্রথম সারির তারকা। কেউ বা রাজত্ব করেছেন একটা দীর্ঘ সময়। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে এঁরাই প্রবল অর্থকষ্টে ছিলেন। আর তা এতটাই পয়সার জন্য কেউ হোটেলে কাজ করতেন, কেউ বা ছিলেন বাস কন্ডাক্টর। কার কেমন জীবন ছিল জানেন? দেখে নিন গ্যালারিতে।
ন’য়ের দশক থেকে বলিউড শাসন করছেন অমিতাভ বচ্চন। কিন্তু প্রথম যখন এলাহাবাদ থেকে মুম্বই এসেছিলেন তাঁর কাছে বাড়ি ভাড়া করারও টাকা ছিল না। ফলে মেরিন ড্রাইভের বেঞ্চে শুয়েই কাটাতে হয়েছে বহু রাত।
ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে বিভিন্ন রকম কাজ করতেন শাহরুখ খান। পয়সার জন্য টিকিট কাউন্টারে দাঁড়িয়ে ‘কভি হাঁ কভি না’ ছবির টিকিটও বিক্রি করেছেন তিনি।
শুনলে অবাক হবেন একসময় অক্ষয় কুমার ব্যাঙ্ককে ওয়েটারের কাজ করতেন। এমনকী শোওয়ার জায়গার অভাবে রেস্তোরাঁর রান্নাঘরের মেঝেতেই তাঁকে ঘুমতে হত।
রজনীকান্ত। এখন সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির হায়েস্ট পেড অভিনেতা। কিন্তু একসময় অতিরিক্ত অর্থের জন্য বাস কন্ডাক্টর এবং কুলির কাজও করেছেন তিনি।
ছোট থেকে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করেছেন বলিউডের ড্রামা কুইন রাখি সবন্ত। ১০ বছর বয়স থেকে হোটেলে খাবার সার্ভ করে পয়সা রোজগার করতেন। পরে নাচকে পেশা হিসেবে নেন এবং বলিউডে সুযোগ পান। বদলে যায় তাঁর জীবন।
টলিউড থেকে বলিউড গিয়েছিলেন হিরো হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু পয়সার অভাবে প্রথম দিকে বেশ কিছুদিন মুম্বইয়ের রাস্তায় থাকতে হয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীকেও।
বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহেরা। কিন্তু ছবি পরিচালনায় আসার আগে কখনও চা, আবার কখনও বা ভ্যাকুয়ম ক্লিনার বিক্রি করে নিজের খরচ চালাতেন।
পয়সার অভাবে এক সময় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি।
ছোট থেকে মাকে বেকারি চালাতে সাহায্য করতেন বোমান ইরানি। পরে মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে ওয়েটারের কাজও করেছেন। বলিউডে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
মেহমুদ তাঁর অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দীর্ঘ সময় বলি পাড়ায় রাজত্ব করেছেন। কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য একসময় ড্রাইভারের কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন এই জাত শিল্পী।
সূত্র : আনন্দবাজারা পত্রিকা
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: