
ছবিঃ সংগৃহীত
আধুনিকতায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। ঢল আর ডাকের তালে বিভিন্ন ভঙ্গিতে দৌড়ে দৌড়ে একে অপরের সাথে লাঠি খেলার যুদ্ধে নামতেন। হাজার হাজার দর্শক সেই খেলা উপভোগ করতেন। দর্শকরা হাতে তালি ও বিভিন্ন আওয়াজে উৎসাহী করতেন লাঠি খেলোয়াড়দের।
ঈদ আড্ডায় এক প্রশ্নের উত্তরে লাঠি খেলার প্রাক্তন খেলোয়াড় আব্দুল কুদ্দুস (৮২) বলেন, "খেলোয়াড়দের ছিলো আলদা সম্মান। ছোট বড় সবাই একসাথে আনন্দঘন পরিবেশে খেলা দেখতেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লাঠি খেলায় ভাড়ায় যেতে খেলতেন। রোজগার চেয়ে খেলাটি উপভোগ করতে বেশি।"
তিনি আরোও বলেন, "আমাদের পরের প্রজন্মের ছেলেরা কিছুটা খেলা শিখেছে। কিন্তু তারপরের প্রজন্ম একদম মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন লাঠি খেলা থেকে। খুব আবেগ নিয়ে চোখে ছল ছল পানি নিয়ে বলেন, সেই গ্রাম, সেই সমাজ, সেই দরদী মানুষগুলো নাই এখন। মানুষের একে অপরের প্রতি থেকে ভালোবাসা উঠে গেছে। গ্রামের ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে।"
এই বিষয়ে পাবনা সদর উপজেলার স্থানীয় সামাজিক সংগঠন নদিপ ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি বলেন, এবার ঈদে আমরা লাঠি খেলার আয়োজন করার চেস্টা করেছি। কিন্তু খেলোয়াড়ের অভাব ঢল ও ডাক বাঁজানোর মানুষের অভাবে খেলার আয়োজন করতে পারি নাই।
পাবনার এক সময়ের অন্যতম প্রাক্তন লাঠি খেলোয়াড় আব্দুল কুদ্দুস (৮২) বলেন, "প্রতিদিন পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়ে আয়োজন হতো লাঠি খেলা। খেলার ব্যস্ততায় আশির দশক ও নব্বই দশকেও আমরা লাঠি খেলার সময় দিতে পারতাম না৷"
পৃথী