ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

সুবিধাবঞ্চিত ৩০ কিশোরীকে ফুটবল প্রশিক্ষণ

প্রকাশিত: ২০:০৭, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

সুবিধাবঞ্চিত ৩০ কিশোরীকে ফুটবল প্রশিক্ষণ

সনদ হাতে সুবিধাবঞ্চিত ৩০ কিশোরী  ফুটবলার

কারো পরিবারে বাবা নেই। কারো মা। কেউ মানুষ হচ্ছে অন্যের পরিবারে। দু'বেলা দু'মুঠো অন্নের জন্য অনেকেই রোজগারের নানা পথ বেছে নিয়েছে ১৬ বছর বয়সেই। সমাজের এসব সুবিধাবঞ্চিত কিশোরীদের ফুটবলে টেনে ব্যতিক্রমী যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ। 

১৩-২০ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা ক্রীড়া অফিসের বাস্তবায়নে কামরাঙিচরের এমন সুবিধাবঞ্চিত ৩০ কিশোরীদের নিয়ে ফুটবল প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।

কামরাঙিচরের ঠোডা মাঠে পাঁচ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ দিয়েছেন ফিফার এলিট ও এএফসির বি-লাইসেন্সধারী কোচ মো. শাহাবুদ্দিন। পরে ৩০ কিশোরীদের দুইভাবে বিভক্ত করে একটি প্রীতি ম্যাচেরও আয়োজন করা হয়েছে। 
ঢাকা জেলা ক্রীড়া অফিসার রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে খেলা শেষে কিশোরীদের হাতে সনদ তুলে দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মো. সাইদুল ইসলাম (মাদবর)। শিশুদের নিয়ে কাজ করা ইউনিসেফ বাংলাদেশের চাইল্ড প্রটেকশন মোবিলাইজারের দুই কর্মী নাসরিন আক্তার ও নাসিমা আক্তার সার্বিক সহযোগিতা করেন। 

নাসিমার কথায়, কামরাঙিচরের বস্তিতে থাকা এসব মেয়েরা কখনোই ফুটবল খেলেনি। কিন্তু তাদের প্রশিক্ষণ ও খেলা দেখতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল। তিনি যোগ করেন, প্রথমদিকে এসব মেয়েদের খেলায় আনতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তাদের বাবা মায়েরা দিতে রাজী হয়নি। মেয়েরা মাঠে খেলবে বলে লজ্জা পাচ্ছিল। কখনো তাদের মায়েদের সঙ্গে মিটিং করেছি। কখনো কিশোরীদের সঙ্গে। এভাবে তিনদিন মিটিং করার পর মেয়েদেরকে টি-শার্ট ও হাফপ্যান্ট দিয়েছি। তবে আমরা বুট দিতে পারিনি। বুট ছাড়াই তারা অনুশীলন করেছে এবং খেলেছে।

কিশোরীদের ভবিষ্যত নিয়ে নাসরিন বলেন, এরা নিয়মিত অনুশীলন করবে। খেলাধূলার মাধ্যমে কিশোরীদের বাল্য বিবাহ হয়, নির্যাতিত হয় তা থেকে বিরত থাকবে। স্কুলেও পড়াশোনা করবে। তাদের প্রতি কেউ যদি সহিংস আচরণ করতে চায়, তাহলে তারা এর প্রতিরোধ করবে। কারণ শিশু সুরক্ষা নিয়ে তাদেরকে মোটিভেশন করেছি। আগামীতে আত্মরক্ষার কৌশলও নিয়েও তাদেরকে একটি সেশন করানো হবে।
 

 

রুমেল খান

×