ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

হুঁশিয়ারি দিয়েও ভারতকে সমীহ করছেন জামাল

প্রকাশিত: ১২:১৭, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

হুঁশিয়ারি দিয়েও ভারতকে সমীহ করছেন জামাল

স্পোটস রিপোর্টার ॥ ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলতে শুক্রবার কলকাতা গেছে বাংলাদেশ বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ভারতের মাটিতে পা দিয়েই ইগর স্তিমাচের দলের উদ্দেশে হুঙ্কারও দিয়ে রাখলেন বাংলাদেশের কোচ এবং অধিনায়ক ১৫ অক্টোবরের ম্যাচ সামনে রেখে। বিমানবন্দর থেকেই বাংলাদেশ দল সরাসরি চলে যায় বাইপাস সংলগ্ন হোটেলে। বিকেলে সেখানে বসেই বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে বললেন, ভারত কিন্তু আমাদের চেয়ে মাত্র এক পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে। আমাদের দুর্বল ভাবলে ওরা ভুল করবে। ভুটানের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। ফিটনেসে আর ইউরোপে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার হুঙ্কার, ঘরের মাঠে চাপটা বেশি সুনীল ছেত্রীদের। কারণ ম্যাচটা ওদের জিততে হবে। যোগ করেন, প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে আবেগের এই ফুটবল ম্যাচটা হারতে চাই না। কড়া ট্যাকল, ধাক্কাধাক্কি হবেই। আমাদের দলে অনুর্ধ-২৩ ফুটবলারের সংখ্যা বেশি। ভারতকে হারানোর জন্য তারা মরিয়া,তারুণই আমাদের অস্ত্র। বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিশ্বকাপের বাছাই ম্যাচে কাতারের বিরুদ্ধে ০-২ হেরেছে বাংলাদেশ। সে প্রসঙ্গ তুললেই আফসোস ঝরে পড়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের গলায়। বলেন, কাতারের বিরুদ্ধে একাধিক সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারলাম না। নিজেই দুটো সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেছি। তিনবার গোললাইন থেকে বল বিপদমুক্ত করেছে কাতার। ভাগ্য সঙ্গে ছিল না।’ বাংলাদেশ অধিনায়কের জীবন চলচ্চিত্রকেও হার মানাতে পারে। বাবা-মা কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা। সত্তরের দশকের শেষের দিকে তারা ডেনমার্কে চলে যান। সেখানেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা জামল ভূঁইয়ার। ২০০৫ সালে তার যখন ১৫ বছর বয়স তখন একদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কোপেনহাগেনের রাস্তায় এক বন্দুকবাজের গুলি চালনোর সামনে পড়ে যান। চারটি গুলি বিঁধেছিল তার শরীরে। এখনও ডান হাতে সেই জখম হওয়ার দাগ রয়েছে। সেই বৃত্তান্ত শুনিয়ে জামাল বলেন, ভাগ্য ভাল থাকায় বেঁচে আছি। ওই ঘটনা আমাকে মানসিকভাবে পরিণত ও পোক্ত হতে সাহায্য করেছে। অস্ত্রোপচারের ১৬ মাস পরে মাঠে ফিরেছিলাম। তাই শেষ পর্যন্ত লড়াই করাই আমার দর্শন।’ সনি নর্দের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্লাব শেখ জামাল ধানম-ির হয়ে অতীতে কলকাতায় আইএফএ শিল্ডে খেলে গেছেন বর্তমান বাংলাদেশ অধিনায়ক। বলেন, কলকাতার দর্শকদের সম্পর্কে আমার ধারণা রয়েছে। মঙ্গলবার মাঠে সুনীলদের বিরুদ্ধে ফুটবল-দ্বৈরথের পাশাপাশি গ্যালারির বিরুদ্ধ সমর্থনও সামলাতে হবে। ইতিবাচক মানসিকতা ও হুঙ্কারের মধ্যেও সুনীল ছেত্রী-উদান্ত সিং জুটির প্রসঙ্গ উঠতেই সমীহের সুর শোনা যায় জামালের গলায়। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, এর আগে দু’বার ভারতের বিরুদ্ধে খেলেছি। প্রথম বার ১-১ শেষ হয়েছিল। দ্বিতীয় বার ফল হয় ২-২। ওই দু’টো ম্যাচেই গোল করেছিল সুনীল। ও আমাদের কাছে একটা বড়সড় বিপদ।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘ভারতের পুরো দলটার রিমোট কন্ট্রোলই সুনীলের হাতে। সঙ্গে উদান্তর গতি। গোলে গুরপ্রীত সিং সাধু! এই তিনজনের জন্যই ভারত ফেবারিট আমাদের বিরুদ্ধে।
×