ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

১১ বছর পর অল-ইংলিশ ফাইনাল

প্রকাশিত: ১০:১৬, ১০ মে ২০১৯

 ১১ বছর পর অল-ইংলিশ ফাইনাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার ইংল্যান্ডের কোন ক্লাব চ্যাম্পিয়ন্স লীগ না জিতলে বোধহয় অবিচার হতো! এ কারণেই হয়তো বিধাতা নাটকীয়ভাবে লিভারপুল ও টটেনহ্যাম হটস্পারকে ফাইনাল মঞ্চে তুলে এনেছেন। এতে করে দীর্ঘ ১১ বছর পর অলইংলিশ ফাইনাল হবে। এবার কোয়ার্টার ফাইনালেই আট দলের চারটি ছিল ইংল্যান্ডের। টটেনহ্যাম ও লিভারপুল ছাড়াও ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটি। দুই ম্যানচেস্টার শেষ আট থেকে বিদায় নিলেও সেমিতে পৌঁছে যায় বাকি দুই দল। কিন্তু শেষ চারের প্রথম লেগে হারের কারণে তাদের ফাইনালে খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে রূপকথার জন্ম দিয়ে ফাইনালে উঠেছে লিভারপুল ও টটেনহ্যাম। এখন দল দু’টি আগামী ১ জুন স্পেনের মাদ্রিদে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠ ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে ফাইনাল মহারণে মুখোমুখি হবে। এবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো অলইংলিশ ফাইনাল দেখতে যাচ্ছে ফুটবলবিশ্ব। ইউরোপিয়ান কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লীগ মিলিয়ে এর আগে একবারই অলইংলিশ ফাইনাল দেখা গেছে। ২০০৭-০৮ আসরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসি ফাইনাল খেলেছিল। তবে ইউরোপিয়ান কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ছাড়া ইউরোপের অন্যান্য টুর্নামেন্ট হিসেব করলে এটি তৃতীয়বারের মতো অলইংলিশ ফাইনাল। ১৯৭২ সালে উয়েফা কাপের ফাইনালে ওলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের মুখোমুখি হয়েছিল টটেনহ্যাম। এবার অলইংলিশ ফাইনাল দিয়ে নিশ্চিত হয়েছে আরও কিছু বিষয়। ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালে শিরোপা জিতেছিল জার্মানির বেয়ার্ন মিউনিখ। এরপর টানা পাঁচ মৌসুম শিরোপা জিতেছে স্প্যানিশ ক্লাব। এর মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ চারবার আর বার্সিলোনা একবার। এবার আর স্পেনের কোন ক্লাবের ঘরে শিরোপা উঠছে না। বরং ২০১২ সালের পর এবার শিরোপা জিতবে কোন ইংলিশ ক্লাব। সাত বছর আগে বেয়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল চেলসি। ইংলিশ ক্লাবগুলোর গর্বের একটি জায়গাও আছে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালে ইংল্যান্ড থেকে এ পর্যন্ত খেলেছে আটটি দল। আর কোন দেশ থেকে এত বেশিসংখ্যক ক্লাব ইউরোপ সেরার ফাইনাল খেলতে পারেনি। ফাইনালের টিকেট পেয়ে এখনই তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন টটেনহ্যামের গর্বিত কোচ মরিসিও পচেট্টিনো। তিনি বলেন, আমি জার্গেন ক্লপ ও লিভারপুলের সব খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাই। কারণ আমি মনে করি, তারা দুর্দান্ত ছিল। স্পার্স বস বলেন, বার্সিলোনার বিপক্ষে তাদের সেমিফাইনালের লড়াই আমরা খুব উপভোগ করেছি। তারাও সবাই নায়ক এবং অবশ্যই দুই ইংলিশ দলের মধ্যে দারুণ একটা ফাইনাল হবে যা আমরা নিশ্চিত করেই উপভোগ করব। অন্যদিকে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় কাঁদতে থাকেন তারুণ্যনির্ভর আয়াক্সের ফুটবলাররা। তাদের সান্ত¡না দিতে দেখা যায় কোচ এরিক টেন হ্যাগকে। দূরে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন আরও একজন, টটেনহ্যামের কোচ পচেট্টিনো। তবে তার কান্না ছিল আসলে আনন্দ অশ্রু। লিভারপুলের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের আগেই টটেনহ্যামের দায়িত্বে পাঁচ বছর পূর্ণ হবে পচেট্টিনোর। তার আগেই শিষ্যরা অবিস্মরণীয় জয় এনে আনন্দের কান্না উপহার দিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন কোচকে।
×