ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

টি২০ সিরিজও জিতল ভারত

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

টি২০ সিরিজও জিতল ভারত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা দুই হারে টেস্ট সিরিজ খুইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু করেছিল ভারত। ফের সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছিল ইতিহাসে কখনই প্রোটিয়াদের মাটিতে সাফল্যের স্বাদ না পাওয়া বিরাট কোহলির দল। তাতেই হয়তো তেতে ওঠেন আধুনিক ব্যাটিংয়ের ওয়ান্ডারবয়। তৃতীয় টেস্ট জিতে ঘুরে দাঁড়ানো, এরপর ওয়ানডে (৫-১এ জয়) হয়ে টি২০’র এই সাফল্য (২-১ এ), যেখানে কোন ফরমেটে ন্যূনতম সাফল্য ছিল না, সেখানে নতুন ইতিহাস গড়ার পথে টানা দুই সিরিজে উড়ল মোড়লদের পতাকা। ব্যাট হাতে সফরজুড়ে রানের ফল্গুধরা বইয়ে দেয়া অধিনায়ক হঠাৎই চোটে পড়লে সিরিজ নির্ধারণী শেষ টি২০’তে দায়িত্ব সামলান ডেপুটি রোহিত শর্মা। কেপটাউনে ৭ রানের নাটকীয় জয়ে সেটি ভালভাবেই পালন করেছেন তিনি। স্কোর ভারত ১৭২/৭ ও দ. আফ্রিকা ১৬৫/৬। মাত্র ২৭ বলে ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা সুরেশ রায়না, তিন ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা পেসার ভুবনেশ্বর কুমার। পাশাপাশি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রাখার পুরস্কার হিসেবে আইসিসি স্মারক-দ- এবং আর্থিক পুরস্কারও (১০ লাখ ডলার) উঠেছে কোহলিদের হাতে। নিউজিল্যান্ডসে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রোহিত। দ্বিতীয় উইকেটে ধাওয়ানের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটিতে দলকে মোমেন্টাম এনে দেন রায়না। ৫ চার ও ১ ছক্কায় বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ২৭ বলে করেন ৪৩ রান। মানিশ পা-ে, হারদিক পা-িয়া (২১) ফেরেন দ্রুতই। রানআউট হয়ে বিদায় নেন ওপেনার ধাওয়ান। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪০ বলে করেন ৪৭ রান। শেষের দিকে মহেন্দ্র সিং ধোনি (১২), দিনেশ কার্তিকের (১৩) ছোট ছোট অবদানে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় ভারত। রান তাড়ায় শুরুটা ভাল হয়নি স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার। তৃতীয় ওভারে ফিরে যান রিজা হেনড্রিকস। রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয় ডেভিড মিলার ও জেপি ডুমিনিদের। দশম ওভারে তারা বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় দলের রান মাত্র ৪৫। নিজের প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১৩ রান দেন পেসার ভুবনেশ্বর। ২৩ বলে ২৪ রান করে ফেরেন মিলার। সময়ের দাবি মেটাতে পারেননি বিস্ফোরক এই বাঁহাতি। আগেরদিন ঝড় তোলা হেনরিখ ক্লাসেনও (৭) ফেরেন দ্রুতই। এরপর পঞ্চাশ ছোঁয়ার ডুমিনিও একই পথ ধরেন। ৪১ বলে খেলা স্বাগতিক অধিনায়কের ৫৫ রানের ইনিংসটি গড়া তিনটি ছক্কা ও দুটি চারে। শেষ চার ওভারে প্রোটিয়াদের দরকার ছিল ৬৪ রান। ক্রিস মরিসের দ্রুত বিদায়ে কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায়। ফারহান বিহারয়িয়েনের সঙ্গে দারুণ জুটিতে দলকে লড়াইয়ে রাখেন ক্রিশ্চিয়ান ইয়ঙ্কার। মাত্র ৩.৩ ওভারে দুই জনে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৫১ রানের জুটি। শেষ ওভারে চাই ১৯। ভুবনেশ্বরের ওই ওভার থেকে ১১ রানের বেশি তুলতে পারেননি তারা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম ইনিংসে ২৪ বলে ৪৯ রান করে শেষ বলে আউট হন ইয়ঙ্কার। দুই হারে সিরিজ খোয়ালেও শেষ টেস্ট জিতে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রাখার পুরস্কারটাও (স্মারক-দন্ড) এদিন কোহলিদের হাতে তুলে দেন দুই দেশের দুই গ্রেট সুনীল গাভাস্কার ও গ্রায়েম পোলক। সঙ্গে ১০ লাখ ডলারের চেক। স্কোর ॥ ভারত ॥ ১৭২/৭ (২০ ওভার; রোহিত ১১, ধাওয়ান ৪৭, রায়না ৪৩, পান্ডে ১৩, পান্ডিয়া ২১, ধোনি ১২, কার্তিক ১৩, প্যাটেল ১*, ভুবনেশ্বর ৩*; মরিস ২/৪৩, ডালা ৩/৩৫, ডুমিনি ০/২২, ফেকুওয়ায়ো ০/২৬, শামসি ১/৩১, ফাঙ্গিসো ০/১৩)। দক্ষিণ আফ্রিকা ॥ ১৬৫/৬ (২০ ওভার; হেনড্রিকস ৭, মিলার ২৪, ডুমিনি ৫৫, ক্লাসেন ৭, ইয়ঙ্কার ৪৯, মরিস ৪, বিহারদিয়েন ১৫*; ভুবনেশ্বর ২/২৪, বুমরাহ ১/৩৯, ঠাকুর ১/৩৫ পান্ডিয়া ১/২২, রায়না ১/২৭, প্যাটেল ১/১৬)। ফল ॥ ভারত ৭ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ রায়না (ভারত)। সিরিজ ॥ তিন টি২০ ভারত ২-১এ জয়ী। সিরিজসেরা ॥ ভুবনেশ্বর (ভারত)।
×