স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টেনিসের জীবন্ত কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামস। গত সেপ্টেম্বরে প্রথম কন্যা সন্তানের মা হন তিনি। তবে প্রথমবার মা হওয়ার সময়ই মরতে বসেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই তারকা খেলোয়াড়। কিন্তু অভিজ্ঞ কয়েকজন চিকিৎসক আর হাসপাতালের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির কল্যাণেই মৃত্যুর কাছ থেকে বেঁচে ফিরেন সেরেনা উইলিয়ামস। মঙ্গলবার সিএনএন-এর এক কলামে সেরেনা উইলিয়ামস নিজেই নিজের জীবনের ভয়াবহ এ অভিজ্ঞতার গল্প শুনিয়েছেন। সেখানে টেনিসের ওপেনযুগে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী সেরেনা উইলিয়ামস লিখেছেন, ‘মেয়ের জন্মের সময় আমি তো মারা যেতেই বসেছিলাম। তবে আমি দুর্দান্ত একটি চিকিৎসক দল পেয়েছিলাম। তারা অভিজ্ঞতায় ছিল পরিপূর্ণ। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারা ছিল সিদ্ধহস্ত। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’ সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে ২৩টি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়েছেন সেরেনা উইলিয়ামস। ২০১৭ সালে অস্ট্র্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জয়ের মাধ্যমেই বিরল এই কীর্তি গড়েন তিনি।
সে সময় মেলবোর্নে চ্যাম্পিয়ন হয়েই জার্মান কিংবদন্তি স্টেফিগ্রাফকে ছাড়িয়ে যান উইলিয়ামস পরিবারের এই ছোট মেয়ে। আর এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জয়ের পরপরই জানা যায় সেরেনা উইলিয়ামস অন্তঃসত্ত্বা। টেনিস কোর্টে দুর্দো- প্রতাপে রাজত্ব করা সেরেনা উইলিয়ামসের সেই সময়টা মোটেও সুখকর ছিল না। সন্তান জন্মের আগের ছয় মাস নাকি মোটামুটি বিছানাকেই ‘স্থায়ী আশ্রয়’ বানিয়ে নিতে হয়েছিল বিশ্ব টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান এই তারকাকে। সে সময় বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩৬ বছর বয়সী টেনিস খেলোয়াড়। সেসব জটিলতা কাটিয়ে উঠতে তাকে অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছিল বেশ কয়েকবার।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: