ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষ্ণাদের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক শারীরিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১৫ মার্চ ২০১৭

কৃষ্ণাদের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক শারীরিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের ২০ ফুটবলারের মধ্যে ১৬ জনই এসেছে অনুর্ধ-১৬ দল থেকে। অ-১৬ দল এই বছরের সেপ্টেম্বরে এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বে খেলবে। জাতীয় ও অ-১৬ দলের শক্তিমত্তা বাড়াতে ৬১ খেলোয়াড়কে নিয়ে একটি শারীরিক কন্ডিশানিং ক্যাম্প আয়োজন করা হয়, যা শেষ হয় গত ১২ ফেব্রুয়ারি। মৌসুমের বিরতির পর খেলোয়াড়দের আবারও উজ্জীবিত করা ছাড়াও ক্যাম্পে বিভিন্ন কর্মকা-ের মাধ্যমে সব ফুটবলারের বিজ্ঞানভিত্তিক শারীরিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো এ ধরনের বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে বাফুফে সূত্রে জানা গেছে। মৌসুম শেষে আবারও তাদের জন্য ক্যাম্প আয়োজন করা হবে। এবার খেলোয়াড়দের নানা ধরনের তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে, ক্যাম্পে তারা বিভিন্ন পরামর্শ পেয়েছে, যেন তারা নিজেরাই নিজেদের শরীরের যতœ নিতে পারে এবং উন্নতমানের খেলোয়াড় হিসেবে প্রস্তুত হতে পারে। বৈজ্ঞানিকভাবে সংবলিত পর্যাপ্ত পরিসংখ্যানভিত্তিক ডাটা সংগ্রহের ফলে বাফুফে এখন দেশের ফুটবলারদের সঙ্গে এশিয়ার বাকি দেশগুলোর ফুটবলারদের তুলনা করতে পারবে। এসব তথ্য ভবিষ্যতে জাতীয় দল গঠনের ক্ষেত্রেও অনেক কার্যকর হবে। শীঘ্রই অ-১৪, ১৬ এবং ১৯ যুবা দলের জন্য একই ধরনের ক্যাম্প আয়োজন করা হবে। ইনজুরি, প্রতিকার, রিকভারি, খেলার বিভিন্ন অনুশীলন, টেকনিক্যাল এ্যাবিলিটি, খেলার কৌশল, শারীরিক শক্তি এবং কন্ডিশনিং ফরমেট, শারীরিক পরীক্ষা এবং শারীরিক ভারসাম্য ও ফ্লেক্সিবিলিটিÑ এই ৮টি মূল স্তম্ভের ওপর ক্যাম্পে জোর দেয়া হয়। মূল লক্ষ্য ছিল সাবিনা-কৃষ্ণাদের স্কিল এবং শক্তি দুটোইর যেন উন্নতি ঘটে। এদিকে ঢাকাতে অ-১৫ ট্যালেন্ট হান্ট শুরু হওয়ার পর অন্য জেলাগুলোতেও ট্রায়াল শুরু হয়েছে। বাফুফের কোচরা সব বিভাগ থেকে ২৫ সদস্যের দলগঠন করে, যারা ঢাকায় এসে একে অপরের সঙ্গে প্লে-অফে অংশ নেয়। তার মধ্যে বরিশাল হয় চ্যাম্পিয়ন এবং দ্বিতীয় হয় ময়মনসিংহ। এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য ছিল বয়সভিত্তিক স্কাউট করে বিকেএসপি অ-১৬ একাডেমির জন্য যুবাদের বেছে নেয়া। অ-১৫ থেকে উঠে আসা নতুন খেলোয়াড়দের পাশাপাশি মক কাপে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়রাও বিকেএসপি একাডেমিতে যাবে। কৃষ্ণারা দুর্দান্ত সাফল্য দেখিয়ে চলেছেন। আরেকদিকে বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় ফুটবল দলের র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনমন হয়েই চলেছে। এবার ঘোষিত ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে আরও তিনধাপ অবনমন হয়েছে। তাদের র‌্যাঙ্কিং এখন ১৯৩। সাফ অঞ্চলে তাদের অবস্থান সাত দেশের মধ্যে পঞ্চম। সবার আগে আছে ভারত (১৩২)। তারপরের অবস্থান মালদ্বীপ (১৪০), নেপাল (১৭০), ভুটান (১৭৭), শ্রীলঙ্কা (১৯৭) ও পাকিস্তান (১৯৮)। এশিয়ার মধ্যে শীর্ষদশে আছে ইরান (৩৩), দক্ষিণ কোরিয়া (৪০), জাপান (৫১), অস্ট্রেলিয়া (৫৫), সৌদি আরব (৫৭), উজবেকিস্তান (৬৩), সংযুক্ত আরব আমিরাত (৬৮), কাতার (৮৪), চীন (৮৬) এবং সিরিয়া (৯৫)। বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে মেসি-ম্যারাডোনার দেশ আর্জেন্টিনা। মজার ব্যাপারÑ দ্বিতীয় থেকে দশম স্থানের কোন পরিবর্তন হয়নি (ব্রাজিল, জার্মানি, চিলি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, কলম্বিয়া, পর্তুগাল, উরুগুয়ে ও স্পেন)। র‌্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে সুরিনাম। ৯ ধাপ ওপরে উঠেছে মধ্য আমেরিকার এই দেশটি (১২০)। আর সবচেয়ে বাজে অবমন ঘটেছে এশিয়ার দেশ মিয়ানমারের। ১৩ ধাপ নিচে নেমে তাদের অবস্থান এখন ১৭২। ভুটানের কাছে হেরে শুরু হয়েছে পতন। এখনও সেই পতন অব্যাহত রয়েছে। এ র‌্যাঙ্কিং দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অবনমন হওয়ার রেকর্ড। ধারাবাহিক ব্যর্থতার ফসল এই রেকর্ড। অবশ্য সাফ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা আরও তলানিতে অবস্থান করছে। এটা একটু হলেও বাফুফে’র (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন) কর্মকর্তাদের তৃপ্তির সঞ্চার দিতে পারে।
×