নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ও সংবাদদাতা, আমতলী ॥ বরগুনার তালতলীর তেঁতুলবাড়িয়ায় পায়রা নদীর মোহনায় শুক্রবার দুই শতাধিক যাত্রীসহ ট্রলারডুবির ঘটনায় হারুন-অর রশিদ মুন্সি (৬০) ও ট্রলার ড্রাইভার আলী হোসেন (২৫) নামে আরও দু’জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ দু’জনসহ মোট সাত যাত্রীর লাশ উদ্ধার হলো। মুসা নামে এক কিশোর এখনও নিখোঁজ রয়েছে। ট্রলার ডুবে নিহত সাতজনের দাফন শনিবার সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের ঘটনায় এলাকায় শোকাবহ অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার একটি মাছধরা ট্রলার দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে কলাপাড়ার মহিপুর থেকে বরগুনার চলাভাঙ্গা দরবার শরীফের মাহফিলে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে তালতলীর পায়রা ও বিষখালী নদীর মোহনায় পৌঁছলে ট্রলারটি একদিকে কাত হয়ে ডুবে যায়। ওই দিন রাতে ট্রলারটি পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে।
ট্রলারে পানি ভরা থাকায় লাশ উদ্ধারে বিলম্ব হয়। পরে ট্রলারের পানি সেচে ভেতর থেকে হারুন-অর রশিদ মুন্সি ও আলী হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মুসা (১৫) নামে এক কিশোর এখনও নিখোঁজ রয়েছে। নিহতদের মধ্যে শুক্রবার রাতে পাঁচজনের লাশ এবং শনিবার সকালে দু’জনের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় কুয়াকাটা পৌরসভা ও লতাচাপলী ইউনিয়নে এখন বিরাজ করছে শোকাবহ অবস্থা। স্বজন হারানোর আহাজারি চলছে ছয় পরিবারে। শনিবার সকালে জানাজা শেষে লাশগুলো দাফন করা হয়। নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন কলাপাড়া নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।