ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

সকল প্রস্তাবে যদি আমাদের একমত হতে বলে তাহলে আলোচনার জন্য ডাকা হলো কেনো: সালাহউদ্দিন আহমেদ

প্রকাশিত: ০৯:০৭, ৩০ জুন ২০২৫; আপডেট: ০৯:১০, ৩০ জুন ২০২৫

সকল প্রস্তাবে যদি আমাদের একমত হতে বলে তাহলে আলোচনার জন্য ডাকা হলো কেনো: সালাহউদ্দিন আহমেদ

ছবিঃ সংগৃহীত

সংবিধান সংশোধন ও রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সপ্তম দিনের বৈঠকেও কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। মূলত সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহে নিয়োগের জন্য কমিটি গঠন এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে ঘিরেই তুমুল আলোচনা চললেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একমত প্রতিষ্ঠা হয়নি।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ বলেন, যে সকল দল এখনো এইসমস্ত প্রস্তাবে ঐকমত্য হচ্ছেনা, আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে তাদেরকে অনুরোধ করেছি যে এখন তারা পুনর্বিবেচনা করতে পারেন কিনা। বিশেষ করে প্রস্তাবিত বিভিন্ন সংশোধনের পর। এটা আমাদের অনুরোধ। 

কমিশনের প্রস্তাবিত সংস্কারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের প্রস্তাব। সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক পলিটিক্স (সিডিপি) ও বাসদ ছাড়া অন্য প্রায় সব দল এ প্রস্তাবে সম্মত হলেও সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে রয়েছে মতানৈক্য।

বৈঠকে বিএনপি ও তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সব বিষয়ে একমত হতে চাপ দিলে এই কমিশনের উদ্দেশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সকল প্রস্তাবে যদি আমাদের একমত হতে বলে তাহলে আলোচনার জন্য ডাকা হলো কেনো? জাতীয় ঐক্যমত্য প্রশম হলে যেসমস্ত বিষয়গুলোতে দলগুলো একমত হবে সেই বিষয়গুলো একত্রিত করে জুলাই সনদ বা জাতীয় সনদ সাক্ষরিত হওয়ার কথা। কিন্তু এখন এইখানে যদি আমাদেরকে বাধ্য করা হয় যে এইসমস্ত বিষয়ে একমত হতেই হবে তাহলে তো সঠিক হলোনা।

নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক দল এনসিপিও এই আলোচনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, শুধুমাত্র নির্বাচনের সুবিধার্থে যেকোনো সংস্কার চাপিয়ে দেওয়া হলে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।

নোভা

আরো পড়ুন  

×