
বিএনপি নতুন রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘দেশ গঠনে’ যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে। লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর এই তথ্য নিশ্চিত হয়েছে। তারেকের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশ চালাতে ড. ইউনূসের পরামর্শ ও দক্ষতাকে কাজে লাগানো হবে ।
তবে ড. ইউনূস শুধু পরামর্শই দেবেন, সরকারি পদে থাকবেন না — এ বক্তব্য তাঁর নিজস্ব মত। তবে বিএনপি তারেককে তালবাহানা বলছে, নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্য ও সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সাংবিধানিক ব্যক্তি হিসেবে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ।
বিএনপি লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে রমজানের আগে (ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন করতে চায় — এতে তারেকের প্রস্তাবে ড. ইউনূস ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যদিও শর্ত হিসেবে ‘বিশেষ সংস্কার ও বিচার নিরপেক্ষতার অগ্রগতি’ থাকতে হবে ।
ড. ইউনূসের অফিস জানায়, তারা চান নির্বাচন হবে সুচারুভাবে, শান্তিপূর্ণ প্রেক্ষাপটে — তিনি কোনো অংশগ্রহণমূলক কর্মকর্তা হবেন না, তবে পছন্দলাভে সহায়তা করবেন ।
এর আগে ‘তারিখ চূড়ান্ত’ নিয়ে বিতর্কে অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি এবং সেনাবাহিনী পর্যন্ত মত ভিন্নতা প্রকাশ করেছে। জুনে তাঁর জবাবে অপ্রত্যাশিতাবে ‘জুন ২০২৬’ নির্বাচন সম্ভাব্যতা ঘোষণা করেছিলেন—যা বিএনপির মধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি করেছে ।
এদিকে বিএনপি জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন ডিসেম্বর ২০২৫ বা ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ হবে না, চলমান রাজনৈতিক প্রস্তুতি সফল না হলে, নির্বাচনে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে ।
বিএনপি জানাচ্ছে, দেশের গণতান্ত্রিক পুনঃস্থাপনে ড. ইউনূসের ‘ইমেজ ও নেটওয়ার্ক’ দরকার। তাদের মত, জাতীয় জীবনের ভারসাম্য ও সম্ভাবনাময় উন্নয়ন পরিকল্পনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারেন। প্রশ্ন উঠছে—এই দলে যুক্ত হলে, ইউঁনূস কি রাজনীতিতে বদলে দেবেন নিজের চরিত্র, নাকি কেবল পরামর্শদাতা হবেন?
এই প্রসঙ্গে সবার নজর এখন ড. ইউনূসের উত্তরে — তিনি কি প্রশ্নমুক্ত, নাকি নিজস্ব ব্যালান্স বজায় রাখবেন?
Jahan