ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ৩ এপ্রিল ২০১৮

ঢাকার দিনরাত

বোশেখ আসার আগে কালবৈশাখী হবে- এ তো বাঁধাধরা নিয়ম; আর রাজধানীও খানিকটা বিপর্যস্ত হবে। কালবৈশাখী তো কেবল ঝড়-বাদলা নয়, নয় বড় বড় মুক্তোদানার মতো শিলার পতন, বরফ ভেবে যা খেয়ে ফেলে আলাভোলা কিশোরী। কালবৈশাখী মানে ঝমঝম বৃষ্টিও। এই বৃষ্টিতে বিপুল জলাবদ্ধতা হয় না বটে! যদিও রাজধানীর অলিগলির ছোট ছোট রাস্তা ছাড়াও বড় বড় সড়কের দু’পাশে জমে যায় পানি। একটা অপরিকল্পিত শহর কত আর ভার নেবে! ফেসবুকে ঢাকার কড়চার প্রসঙ্গ উঠলে অবধারিতভাবে এ সপ্তাহের রোজনামায় এসে যাবে মাঝ-চৈত্রের বৃষ্টি। এই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করা চলে না। সংবেদি মন অনেক অনুভূতিতে সিক্ত হয়। তার ছিটেফোঁটা শব্দাকারেও বের হয়ে আসে। চৈত্রবৃষ্টির শব্দসৃষ্টির এ দিকটি বিচিত্র বৈশিষ্ট্য নিয়েই উপস্থিত ঢাকার জীবনপ্রবাহে। বৃষ্টি কি কেবল রোমান্টিকতা জাগায়? নাকি সমাজলগ্ন হওয়ার প্রেরণাও থাকে তাতে। আর বৃষ্টির সঙ্গে কজ্রপাত! গত সপ্তাহে বজ্রপাত কেড়ে নিয়েছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার এক কৃষকের জীবন। মৃত্যুর মুহূর্তেও পরম মমতায় তিনি আঁকড়ে ধরে ছিলেন ধানের গোছা। ছবিটি ফেসবুকে দেয়ায় অনেকেই তা দেখে আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন। আবারও লিফট দুর্ঘটনা! ঢাকা মহানগরীর প্রতীক কি? মানে যে-বিষয়টি দৃশ্যমান হলে ঢাকাকে শনাক্ত করা সহজ হয়। আগে যেমন ঢাকাকে বলা হতো মসজিদের শহর। এত মসজিদ দেশের আর কোথাও নেই। পৃথিবীতেই আছে কি? এরপর বলা শুরু হলো ঢাকা হলো রিক্সার শহর। তা বটে, রিক্সায় সয়লাব এই শহর। বৈধ-অবৈধ রিক্সার বাহুল্যে রাস্তা সব বেদখল। ধীরে ধীরে অবশ্য প্রধান প্রধান সড়ক থেকে রিক্সা তুলে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এখন রিক্সা চলে অপ্রধান সড়ক ও আবাসিক এলাকার অলিগলিতে। রিক্সার তুলনায় প্রাইভেট গাড়িও কি কম এই শহরে। তবু ঢাকাকে প্রাইভেট গাড়ির শহর বলা যাবে না। ছবিতে কংক্রিটের শাপলা ফুল দেখা গেলে বুঝি এটি আমাদের রাজধানী। আগে যেমন ডিআইটির ঘড়িঅলা ভবনটি ছবিতে ব্যবহৃত হলে বোঝা যেত ঢাকার দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। তবে ঢাকা যেভাবে পরিকল্পনা ছাড়া ফুলে ফেঁপে উঠেছে, তিন কাঠা-পাঁচ কাঠা- দশ কাঠা জমি পেলেই তর তর করে উঠে গেছে আকাশছোঁয়া সব ভবন। এমনকি খাল-ডোবা-পুকুর-জলাশয় ভরাট করেও বানানো হয়েছে স্কাইস্ক্র্যাপার, তাতে ঢাকার একটা বস্তুগত প্রতীক হতে পারে লিফটÑ বহুতল ভবনে প্রবেশের জন্য অতিদরকারি মাধ্যম। তা সে আবাসিক ভবন হোক, কিংবা হোক বাণিজ্যিক ভবন। ঢাকার হাজারে হাজার ভবনের সবগুলোতেই যে লিফট স্থাপন করা হয়েছে এমন নয়। ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় এখনও সাত তলা ভবন রয়েছে যেগুলোয় লিফট লাগানো হয়নি। সে যাক, ঘনবসতিপূর্ণ শহরের একটা প্রতীক হতে পারে এই লিফট। আমরা অহরহ যেটি ব্যবহার করি, কিন্তু তাতে আটকা না পড়লে আমাদের বোধোদয় ঘটে না। গত সপ্তাহে ঢাকার আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল লিফট দুর্ঘটনা। মনে পড়ে একবার মধ্যরাতে কারওয়ান বাজারের জাহাঙ্গীর টাওয়ারের লিফটে আটকা পড়েছিলেন দুই প্রতিমন্ত্রী। ওই ঘটনার পরের দিনই ছিঁড়ে পড়ে উত্তরার একটি বহুতল বিপণি বিতানের লিফট। লিফটের তার ছিঁড়ে হতাহত হওয়ার ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিউমার্কেট এলাকায় একটি ভবনের লিফটের তার ছিঁড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ধানম-ির একটি ভবনের চারতলা থেকে নামার সময় লিফটের তার ছিঁড়ে এক প্রাইভেট কারচালক প্রাণ হারান। দেখা যাচ্ছে দেশে একদিকে বহুতল ভবন নির্মাণ বাড়ছে এবং সেই সঙ্গে বাড়ছে লিফট দুর্ঘটনা। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে প্রকৌশলীরা বলছেন, যাঁদের বাড়ির লিফট ১০-১৫ বছরের পুরনো, তাঁদের সাবধান হওয়া উচিত। লিফটের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ দরকার। লিফট ছিঁড়ে পড়া খুব সহজ নয়। প্রতিটি লিফটে ৪ থেকে ১২টি পর্যন্ত মোটা ধাতব তার থাকে। লিফটের গায়ে যে ধারণক্ষমতা লেখা থাকে, তার চার গুণ ওজন তোলা হলেও লিফট ছিঁড়ে পড়ার কথা নয়। চারটি ধাতব তারের তিনটি ছিঁড়ে গেলেও শুধু একটি তার লিফটকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারে। এছাড়া লিফটে ‘স্পিড গভর্নর’ আছে, তার ছিঁড়ে লিফট নিচের দিকে নামতে থাকলে স্পিড গবর্নর গতি নিয়ন্ত্রণ করে ও থামিয়ে দেয়। ধাতব তার ছিঁড়ে যাওয়ার বেশ আগেই আয়তনে লম্বা হয়ে যায়। তখন লিফট মেঝের সঙ্গে মিশে না গিয়ে ওপরে বা নিচে গিয়ে থামে। যেসব ভবনে নিয়মিত লিফট রক্ষণাবেক্ষণ হয়, সেখানে এমন উপসর্গ দেখা গেলেই ভবন মালিকদের ব্যবস্থা নেয়ার কথা। তবে যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, স্পিড গভর্নরের দাম লাখখানেক টাকা। অনেক অসচেতন মানুষ টাকা বাঁচাতে কখনও কখনও এই স্পিড গবর্নর লাগান না। সেখানেও বিপত্তি ঘটে। গত সপ্তাহে ঢাকার শান্তিনগরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সংবাদ যে কোন সংবেদনশীল মানুষকেই হতবাক করে দেয়। তবে ওই বিয়োগান্তক দুঃখজনক ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলা হলেও আহত মন সেটি মানতে রাজি নয়। ঘটনার নেপথ্যে মানুষেরই অবহেলা-উপেক্ষা রয়েছে। আছে জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে অপারগ থাকার মনোভাব। অসতর্কতা বা অসচেতনতাকে দোষারোপ করে আমরা আমাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারি না। রাজধানীতে বাবা-মায়ের সামনেই ত্রুটিপূর্ণ লিফটের দরজার চাপায় প্রাণ হারাল ৯ বছরের শিশু আলভিরা। লিফট ত্রুটিমুক্ত থাকলে দরজাটা বন্ধ হতো না, আর শিশুকন্যাও তীব্র আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত হয়ে মারা যেত না। নগরে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য দেশে ডেভেলপার কোম্পানির অভাব নেই। এদের জমি নির্বাচন ও ক্রয় প্রক্রিয়া নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। দস্যুদের কাছ থেকে মানবকল্যাণ আশা করা যায় না। আর সে কারণেই তাদের অর্থায়নে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কারিগরি ত্রুটি যেমন থেকে যায়, তেমনি গৃহ নির্মাণসামগ্রী বা উপকরণ ব্যবহারেও এরা দুই নম্বরির আশ্রয় নেয়। ফলে তাদের তৈরি ভবন হয়ে ওঠে ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনগুলো টেকসইও হয় না। যেনতেনভাবে বাড়ি বানিয়ে ফ্ল্যাট হস্তান্তর বা ভাড়া দিয়ে মুনাফা লোটাই এদের প্রধান উদ্দেশ্য। ফ্ল্যাট বা এ্যাপার্টমেন্ট কালচারে একজন কেয়ারটেকার বা দারোয়ান নিয়োগ দেয়া হয়। তার বেতন-ভাতা মেটাতে ভাড়াটিয়াদের ওপর আরোপ করা হয় সার্ভিস চার্জ। এক্ষেত্রেও অতিমুনাফার মানসিকতা লক্ষ্য করা যায়। এদের প্রতিটি পদক্ষেপেই লোক ঠকানো ও মাত্রাতিরিক্ত লোভ। তাই ভবনের লিফট রক্ষণাবেক্ষণে তারা উদাসীনতার পরিচয় রাখে। ত্রুটিযুক্ত লিফটের ওই ভবন গ্রিন পিস এ্যাপার্টমেন্টের একাধিক বাসিন্দা সাংবাদিকদের জানান, ১৮০টি ফ্ল্যাটের এই বিশাল এ্যাপার্টমেন্টে এক হাজারেরও বেশি মানুষ বাস করে। তিনটি ভবনের জন্য রয়েছে ৬টি লিফট, তবে সব সময় চালু থাকে একটি। আগে তিনজন লিফটম্যান কাজ করলেও এখন কাজ করছেন একজন। চার হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ হিসাবে মাসে ৭ লাখ টাকা উঠলেও মাঝে মাঝেই লিফটের বাটন, সেন্সর কাজ করে না। এ ছাড়া পর্যাপ্ত সিকিউরিটি গার্ড না থাকা, লিফটম্যান ও গার্ড দিয়ে কমিটির লোকজনদের বিরুদ্ধে বাজার করানোর অভিযোগও রয়েছে। এটি যে কেবল দুর্ঘটনাকবলিত ভবনের চিত্র তা নয়। এটিই এখন বহুতল ভবনের সাধারণ চিত্র, বিরাজমান বাস্তবতা। বইমেলার পরে বইয়ের অভিনব প্রচার বইমেলার সময়ে পুরো মাসজুড়ে মিডিয়া বিনি পয়সায় বইয়ের ঢালাও প্রচার দিয়ে থাকে। একইসঙ্গে ছাড়কৃত মূল্যে বইয়ের বিজ্ঞাপন প্রচারেরও সুযোগ করে দেয় মিডিয়া। পৃথিবীর আর কোন দেশে এমনটা হয়ে থাকে বলে আমার জানা নেই। এ সব কিছুই করা হয় বই পড়ার অভ্যাসকে উৎসাহিত করা, বইয়ের সঙ্গে যুক্ত লেখক-প্রকাশককে সহযোগিতা করার জন্যে। মিডিয়া লেখকদের যে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে, সম্মান করে, এটি অবশ্যই তারই বহিঃপ্রকাশ। তবে সত্যপ্রকাশের দায়বোধ থেকে একথাও আমাদের বলা দরকার, অনেক সংবাদপত্রই লেখকদের সৃজনশীল লেখার জন্য সম্মানী দেয় না। অনেকে দিতেও পারে না। যাহোক, আমার পয়েন্ট ভিন্ন। বইমেলার সময় লেখক হয়ে ওঠেন নায়ক, সেই সুবাদে প্রকাশকরাও কিছুটা গুরুত্ব পান। কিন্তু বইমেলার পর বই নিয়ে আলাপ-সালাপ খুব একটা শোনা যায় না। বইয়ের বিজ্ঞাপনও পত্রিকার পাতায় একেবারেই আর দেখা যায় না। বইয়ের প্রচার না করলে পাঠক বই সংক্রান্ত তথ্য কিভাবে জানবে? এ তো গেল একটা দিক। অপরদিকে লক্ষ্য করে থাকি বইয়ের প্রচারের কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করেন এমন কেউ যদি নিজে লেখক হন তবে তার নিজের বইয়ের প্রচার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হয় না। ব্যতিক্রম রয়েছে বটে। সুকৌশলে কেউ কেউ নিজের বইয়ের প্রচারে পারঙ্গমতা দেখান, কিছুটা লাজলজ্জার মাথা খেয়েই। তা নিয়ে আলাপ আর বাড়াতে চাই না। আসল কথায় আসি। একটি অনলাইনে বইয়ের প্রচারে কুশলী ভূমিকা রাখেন বিধান রিবেরু। তার নিজের বইয়ের প্রচার কেউ দেয়নি। এই সুযোগে তার বইয়ের কথা বলছি। এবছর একুশের গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে বিধান রিবেরুর প্রথম শিশুকিশোর বিষয়ক সাহিত্যের বই ‘রসগোল্লা’। বইটি প্রকাশ করেছে কথা প্রকাশ। ছড়া, কবিতা, গল্প, লোককাহিনী, অনুবাদ গল্প, নিবন্ধ ও ধাঁধাসহ বিচিত্র স্বাদের লেখা সংকলিত হয়েছে এক মলাটের ভেতর। শিশুদের মনোজগতকে আন্দোলিত করতে ছড়া ও কবিতায় বলা হয়েছে স্বপ্নময় দুনিয়ার কথা, বলা হয়েছে মানুষের দ্বারা ধ্বংস হতে বসা পৃথিবীর কথা। এছাড়া এই বইতে এডোয়ার্ড লিয়ারের কিছু লিমেরিকও অনুবাদ করা হয়েছে। বিধান রিবের এই বইতে যোগ করেছেন কিছু মৌলিক রূপকথা ও গল্প। সমসাময়িক বাস্তবতাকেই ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি। রয়েছে বিভিন্ন দেশের লোককাহিনীর পুনর্কথন। এরপর যার কথা বলতে চাই তাকে মাসভর দেখেছি বইমেলা থেকে সরাসরি অনুষ্ঠান করতে। তিনি পারমিতা হিম। একদিন মেলায় ঘুরতে ঘুরতে চমকে উঠি, পারমিতা বইমেলায় আগতদের জন্য বসার একটা জায়গাকে রীতিমতো টিভি স্টুডিও বানিয়ে ফেলেছেন। দেশের কয়েকজন পরিচিত প্রকাশক মোট তিনখানা বেঞ্চে বসে পারমিতার বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন। ক্যামেরার ফ্রেমে মেলায় ঘুরে বেড়ানো নরনারীর ছবিও দারুণ প্রাণবন্ত। দৃশ্যটি আমার বেশ ভাল লাগে। ২০০৭ সালে একুশে টিভির জন্য বইমেলার প্রতিদিনের অনুষ্ঠান গ্রন্থনা-উপস্থাপনার সঙ্গে যখন জড়িত ছিলাম, সে সময়ে ভাবতাম, আহা মেলা প্রাঙ্গণেই যদি একটা স্টুডিও করা যেত যেখানে বসে অনুষ্ঠান করতাম। পরে অনলাইনের বহুল ব্যবহার শুরু হলে ভেবেছি মেলা মাঠ থেকেই কেন ওই স্বপ্নের স্টুডিও থেকে কেউ স্কাইপেতে বিদেশে অবস্থানরত আমাদের লেখকদের সঙ্গে কথা বলছেন না। তাতে প্রবাসে বসবাসকারী লেখক মেলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হওয়ার স্বাদ পেতেন। যা হোক, পারমিতা হিমের প্রথম উপন্যাস ‘নারগিস’ বেরিয়েছে গত সপ্তাহে। আর বইটি প্রকাশ করেছে বহিঃপ্রকাশ, প্রকাশক কবি ব্রাত্য রাইসু। তিনি বইটির প্রচারে বিশেষ উদ্যোগ নেন। পাঠক সমাবেশে আয়োজিত হয় বুক সাইনিং ইভেন্টের। বইমেলায় লেখক কোনো স্টলে বসে নিজের বিক্রিত বইয়ে পাঠকদের অটোগ্রাফ দেন। এটাও তেমনই। লেখক ক্রেতাদের বইয়ে সাইন করেন। সেসব ছবি ফেসবুকে পোস্ট হয়। উপন্যাসের অংশবিশেষ তুলে দেন প্রকাশক, লাইভ প্রচারেরও ব্যবস্থা নেয়া হয়। সব মিলিয়ে প্রথম উপন্যাস বেরুলো এমন লেখকের জন্যে বেশ উপকারী। শুক্রবার দিনভর চলে এই ইভেন্ট। বইটির দাম অনেকের কাছে কিছুটা বেশি মনে হতে পারে। বইয়ের বিনিময়মূল্য নিয়ে ব্রাত্য রাইসুর কাছে আমার জিজ্ঞাস্য ছিল- ‘লেখকের প্রাপ্য সম্মানী, বইয়ের উৎপাদন খরচ, পাণ্ডুলিপি সম্পাদনার জন্য খরচসহ অন্যান্য খরচ, পণ্য-প্রচার-ব্যয় (বই পণ্যই, কালের কাছে গচ্ছিত অনন্য পণ্য) প্রকাশকের মুনাফা ইত্যাদি মিলিয়ে বইয়ের দাম রাখাটাই সমীচীন। এর বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত দাম রাখা হলে সেটি বইয়ের বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না। কিছুটা যাখুশিতাই মার্কা হবে।’ উত্তরে তিনি তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে বলেন- ‘বইয়ের বাজার চালু আছে সরকারের কাছে বই গছানোর উপর ভিত্তি কইরা। এই বাজাররে ঢাইলা সাজানো দরকার। বইয়ের বাজার যাতে বইয়েরই বাজার হয়। তা করতে গেলে বাইরের বইগুলির দামের সঙ্গে তাল মিলাইয়া বইয়ের দাম বাড়াইতে হবে। নয়তো এই বাজার করুণার বাজার হইয়া থাকবে।’ ১ এপ্রিল ২০১৮ [email protected]
×