ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে দেখা

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ১০ নভেম্বর ২০১৭

ফিরে দেখা

হাইড্রোলিক বনাম চালাকি হর্ন রশিদ মামুন ॥ উচ্চ আদালতের আদেশ রাস্তায় আর হাইড্রোলিক হর্ন বাজবে না। সম্প্রতি আদালতের আদেশ কার্যকরে রাস্তায় পুলিশ নেমেছে। নাবিল পরিবহনের একটি গাড়িতে ঢাকা থেকে পঞ্চগড় যাচ্ছিলাম। রংপুর শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে পুলিশের হাত উঠল। গাড়ি থেমে গেল, এসি গাড়ির ভেতর থেকে পুলিশের কথা শোনা যাচ্ছে না। ইশারা ভাষায় পুলিশ ড্রাইভারকে হর্ন বাজাতে অনুরোধ করল। ওমা সে কি ভদ্র হর্ন। একদম বাবুরাম সাপুড়ের সাপের মতো কিছুই যেন নেই তার। পুলিশ ইশারা দিল যান ভাই এ প্লাস। ড্রাইভার বলল আমাদের কাছে দুটাই আছে এইটা হচ্ছে চালাকি হর্ন। মাত্র ৫০ গজ দূরে গিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে অকারণে বাজাল সেই দানবীয় হাইড্রোলিক হর্ন। জানি না, সেই শব্দ পুলিশের কানে গিয়েছিল কিনা। এখনও আদালতের আদেশ বলবৎ আছে। তবে রাস্তায় নামলে তা বোঝা যায় না। আছেন তো পাপের মধ্যে শাহীন রহমান ॥ কিছুদিন আগে গেছি, মিরপুর এক নম্বরের একটি মার্কেটে। সেল ফোনটিতে বেশ কিছুদিন ধরে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। এছাড়া একটি ফোন চার্জার কেনার জন্য মার্কেটের দোতলায় ঘুরছি। এক দোকানে গিয়ে নোকিয়া ফোনের চার্জার খোঁজ করছি। দোকারদার দুজনই মুসল্লি ধরনের। গায়ে পাঞ্জাবি পরা। এছাড়া একজনের মাথায় পাগড়ি পরা ছিল। সৎ মানুষ। কেনা বেচায় কোন শঠতা নেই। বিশ্বাস করেই দোকানে ঢুকলাম। সবকিছুই ঠিক ছিল। ঘটনা ঘটল অন্য জায়গায়। ফোন চার্জার কেনার পর নিজের সেল ফোনটি দেখিয়ে বললাম বেশ কিছুদিন সমস্যা দেখা দিয়েছে ফোনটি ঠিক করা যাবে না? তারা বলল আগের মতোই (কেনার সময় যেমন ছিল) করে দেয়া যাবে। একজন বলল, কতদিন ধরে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। বললাম এক বছর ধরে। সময়ের অভাবে ঠিক করতে পারেনি। কথা প্রসঙ্গে নিজের সাংবাদিক পরিচয়টাও দিলাম। এরপর তার কাছ থেকে যে ফিডব্যাক পেলাম তাতে কিছুক্ষণ চুপ হয়ে বসে থাকতে হয়েছিল। তিনি সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরই বললেন, আছেন তো কঠিন পাপের মধ্যে। আমি জানতেই চাইলাম কীভাবে পাপের মধ্যে আছি। তিনি উত্তরে জানালেন আপনারা তো সব সময় মিথ্যা লেখেন। তার কথা শুনে এখন নিজের কাছে প্রশ্ন জাগছে যারা সাংবাদিকতা করেন তারা সত্যিই খুব পাপের মধ্যে আছেন। উত্তরটা জানা প্রয়োজন। সাধারণ সম্পাদক বটে... রুমেল খান ॥ ১০ অক্টোবর, ২০১৭, মঙ্গলবার, বেলা ১২টা। অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের অডিটোরিয়াম। বাংলাদেশ এ্যামেচার বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের প্রেস কনফারেন্স। ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য একটি এ্যামেচার প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ফেডারেশন থেকে চার সদস্যের শরীর গঠন দল সেখানে যাবে। প্রেসমিটে জানানো হয় ভারতগামী খেলোয়াড়দের সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে ফেডারেশন। এছাড়া তিন বডি বিল্ডারকে ১০ হাজার টাকা করে পকেটমানিও দেবে তারা। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা যখন বডি বিল্ডারদের প্রশ্ন করল, তখন তারা উত্তর দেবার আগেই তাদের থামিয়ে দিয়ে জবাব দিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। তখনই যা বোঝার বুঝে ফেললেন সাংবাদিকরা। ডাল মে কুছ কালা হ্যায়! পরে অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রকৃতপক্ষে বডি বিল্ডাররা সেখানে যাচ্ছেন সম্পূর্ণ নিজেদের টাকায়। ফেডারেশন এখানে নিজেদের ইমেজ বৃদ্ধি করতেই এমন মিথ্যে প্রচারণা চালাচ্ছে। যাহোক, দুর্নীতিগ্রস্ত ও বিতর্কিত এই সাধারণ সম্পাদকের প্রতি এরপর একের পর এক ধেয়ে আসতে লাগল তীর্যক প্রশ্নের তীর। প্রেসমিট শেষ হলো। সবাই রুম ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। যাবার সময় সবার হাতে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে দুপুরের লাঞ্চের প্যাকেট। সেদিন ওই সাধারণ সম্পাদকের যত সব কুকীর্তির ফিরিস্তি নিয়ে প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব লিখে ই-মেইল করে পাঠালাম, যা পরেরদিন জনকণ্ঠের খেলার দ্বিতীয় পাতায় ‘শরীর গঠন ফেডারেশেনের তেলেসমাতি’ শিরোনামে লিড করে প্রকাশিত হয়। [email protected]
×