
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, মাদক নির্মূলে সবার আগে এর পেছনে থাকা গডফাদারদের ধরতে হবে। তবেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কর্মসূচি সাফল্য পাবে। শুধু মাদকের বাহকদের ধরে লাভ নেই।
উপদেষ্টা আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে "মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস, ২০২৫" উদযাপন উপলক্ষে ৩২টি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দুটি বড় শত্রু রয়েছে। এক নম্বর হচ্ছে দুর্নীতি এবং আরেকটি হলো মাদক। মাদক এখন সমাজের সর্বত্র ও সকল শ্রেণির মানুষের মাঝে ছেয়ে গেছে। মাদক থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সচেতনতা। শুধুমাত্র মাদক নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে এটি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। তিনি বলেন, মাদক যেন বাইরে থেকে দেশে ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে।
মাদক পাচারের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, মাদকাসক্তি নিরাময়ের খরচ এখন অনেক বেশি। গরিবের পক্ষে এটা বহন করা অনেক কষ্টসাধ্য। তিনি এ সময় কেউ যেন মাদকাসক্ত হয়ে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হতে না হয় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, মাদকসেবীদের সংখ্যা যেন ধীরে ধীরে পুরোপুরি কমে আসে— এ ব্যাপারে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে। গত একনেক সভায় ১৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাতটি বিভাগীয় শহরে "সাতটি বিভাগীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণ" প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। তিনি বলেন, যেভাবেই হোক আমাদের সমাজ থেকে মাদককে উচ্ছেদ করতে হবে।
ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে উপদেষ্টা ঢাকা মেট্রো এরিয়া-সহ ঢাকা বিভাগের ৩২টি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের মাঝে ৫৭ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
আফরোজা