
ছবি:সংগৃহীত
ঈদ উপলক্ষে থানার খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনে গিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী অনিয়মের আশঙ্কা প্রকাশ করেন এবং খাবারের মান ও রেট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তিনি থানায় সকালের, দুপুরের এবং রাতের খাবারের মেনু ও মূল্য যাচাই করেন। জানা যায়, সকালে ডিম ও আলু ভর্তা এবং ডাল পরিবেশন করা হয় যার মূল্য ৪০ টাকা। দুপুরে মুরগি বা রুই মাছ, সবজি এবং ডালসহ খাবার দেওয়া হয়, যার দাম ৭০ টাকা। কিন্তু একই ধরনের খাবার রাতে দেওয়া হলেও তার মূল্য রাখা হয় ৫০ টাকা। এই অসামঞ্জস্যতায় তিনি প্রশ্ন করেন, একই ধরনের মেনু হলে দুই রকম দাম কেন হবে? এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের একটি তদন্ত করে সঠিক মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি থাকার ব্যবস্থাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের নিয়মিত তদারকির জন্য তিনি দুইজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিয়োগের নির্দেশ দেন। একজন কর্মকর্তা থানার খাওয়া-দাওয়ার মান তদারকি করবেন এবং অন্যজন সদস্যদের থাকার ব্যবস্থার দেখভাল করবেন। তিনি বলেন, যেহেতু পুলিশ সদস্যরা ঈদের সময়েও ডিউটিতে থাকেন এবং স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন না, তাই তাদের মৌলিক চাহিদাগুলোর প্রতি প্রশাসনের মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
এই পরিদর্শনের মাধ্যমে তিনি একদিকে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং অন্যদিকে, তাদের খাদ্য ও আবাসনের বাস্তব অবস্থা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তদন্তের মাধ্যমে এই অসামঞ্জস্য দূর হবে এবং ভবিষ্যতে পুলিশের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে এসব ব্যবস্থা কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
ছামিয়া