
সংগৃহীত
শেষবারের মতো মায়ের মুখ ছুঁয়ে দেখার সুযোগও পেলেন না রাজশাহীর সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ। প্যারোলে মুক্তি না দেওয়ায় কারাগারের ফটকে দাঁড়িয়ে দূর থেকেই চোখের জল ফেলে মায়ের মরদেহ দেখতে হয় তাকে।
এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। যদিও প্যারোল আবেদন নামঞ্জুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা প্রশাসন। তাদের দাবি, প্যারোলের আবেদন করলেও মরদেহ জেলগেটে এনে দেখানোর সিদ্ধান্তটি এসেছিল পরিবারের পক্ষ থেকেই।
সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় আসাদুজ্জামান আসাদের মা ইন্তেকাল করেন। তার কিছুক্ষণ পরই পরিবারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করা হয়। কিন্তু “আমলাতান্ত্রিক জটিলতা”য় বিষয়টি দীর্ঘায়িত হয়, বলেন তার ভাই মো. কামরুজ্জামান।
পরে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় রাজশাহী কারাগারে—সেখানে দাঁড়িয়ে দূর থেকে মায়ের মুখ দেখেন মি. আসাদ। রাত ৯টায় মহিষবাথান কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
আসাদুজ্জামান আসাদ রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি এবং বর্তমানে কারাবন্দি।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, তাকে মুক্তি দিলে জানাজায় জনসমাগম হতে পারে, যা আইনশৃঙ্খলার জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারত এই বিবেচনায় তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়নি।
মি. আসাদের পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও, এই ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন রাজনীতির ঊর্ধ্বে মানবতা কি আর নেই?
হ্যাপী