ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশে  ব্যাপক বৃষ্টি, জনদুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ২৯ মে ২০২৫

নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশে  ব্যাপক বৃষ্টি, জনদুর্ভোগ

.

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নি¤œচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি উপকূলে আঘাত হানার পর রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এছাড়া ১৪টি জেলার ২ থেকে ৪ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে দেশের অন্তত ৬টি জেলায় বন্যার সতর্কতা জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত ১২ ঘণ্টায় শুধুমাত্র রাজধানীতেই ৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর জনমানুষের ভোগান্তি ছিল চরমে। গভীর নিম্নচাপের কারণে দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। 
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম করে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হওয়ার কথা। অতিক্রম করার সময়ে নিম্নচাপটি অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। এমনতিতে রাজধানী ঢাকাতে সকাল থেকে টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, গভীর নিম্নচাপের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানীতে মোট ৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ শুক্রবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হলেও থেমে থেমে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছেন, নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। গভীর নি¤œচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটারে পর্যন্ত বাড়ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। 
১৪ জেলায় ২ থেকে ৪ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা ॥ বিশেষ এ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অমাবস্যা ও গভীর নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ২ থেকে ৪ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এর আগের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। 
এর আগে গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়, যা পরে আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় নিম্নচাপে পরিণত হয়। বৃহস্পতিবার সেটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিল। আর এর প্রভাবেই সারাদিন রাজধানীজুড়ে বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হয়েছে। আজ শুক্রবারও বৃষ্টি হতে পারে। দেশের চার বিভাগেই বর্ষণের সতর্কবার্তা ইতোমধ্যে দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা ॥ আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। অতি ভারি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। ভারি বৃষ্টির প্রভাবে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের চার বিভাগের নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। আগামী শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেশ খানিকটা কমে আসতে পারে; বিশেষ করে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে অপেক্ষাকৃত কম বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া ও বিদ্যুৎ চমকানোসহ হাল্কা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে।
৬ জেলায় বন্যার পূর্বাভাস ॥ দেশের ছয় জেলায় বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। শুক্রবার ও শনিবারের মধ্যে এসব এলাকার নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে একই নদীর আশপাশের নি¤œাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এসব তথ্য জানিয়েছে। কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, ছয় জেলা হচ্ছে ফেনী, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং নেত্রকোনা। ভারি বৃষ্টিতে সব নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। আগামীকাল শুক্রবার ও শনিবার অনেক নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে এসব জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী দুদিন চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী ও ফেনী নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এই সময় মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে ফেনী জেলার মুহুরী নদীর আশপাশের নিম্নঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। পরবর্তী এক দিন এসব নদীর পানি কমতে পারে।
সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, মনু, খোয়াই, খলাই ও সোমেশ্বরী নদীগুলোর পানি আগামী তিন দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এই সময় নদীগুলোর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নিম্নঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীগুলোর পানি আগামী তিন দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদীর পানি সতর্কসীমা অতিক্রম করতে পারে।
আগামী দুই দিন বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি উচ্চতার জোয়ার পরিলক্ষিত হতে পারে। সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বর্তমানে কমছে, যা আগামী তিন দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি কমছে এবং তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীগুলোর পানি আগামী একদিন স্থিতিশীল থাকবে এবং পরবর্তী ৪ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে তা এখনও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি বর্তমানে স্থিতিশীল, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীগুলোর পানি আগামী ৫ দিন পর্যন্ত বাড়তে পারে; তবে তা বিপদসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হতে পারে। অভ্যন্তরীণ নৌপথের সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ ॥ বৈরী আবহাওয়ার কারণে বরিশাল নদী বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথের সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বিআইডব্লিউটিএ জানায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হলে লঞ্চ চলাচল পুণরায় শুরু হবে। বৃহস্পতিবার সকালে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সকাল থেকে বরিশাল নদী বন্দরে একটিও লঞ্চ ছেড়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম রেজা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দমকা বাতাস, বৃষ্টি এবং নদী কিছুটা উত্তাল থাকায় বরিশাল নৌবন্দরকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুণরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হবে। তবে এ সময়, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক আছে।
রাজধানীতে অবিরাম বৃষ্টি জলাবদ্ধতা-ভোগান্তি ॥ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে অঝোর ধারায় ঝরছে বৃষ্টি। এর সঙ্গে বইছে দমকা হওয়া। টানা বর্ষণের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে লেগেছে যানজট, চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হওয়ায় বৃহস্পতিবার এমনিতেই রাজধানীতে কর্মব্যস্ততা থাকে। কিন্তু এদিন ভোর থেকেই বৃষ্টির কারণে স্কুল-কলেজ ও অফিস-আদালতগামীসহ কর্মজীবীরা বিপাকে পড়েন। সড়কের কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়, এতে যানজট তৈরি হওয়ায় মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী-পথচারীরা।
এই পরিস্থিতিতে অনেককে ছাতা মাথায় গন্তব্যে হাঁটতে দেখা গেছে। অনেকে রিক্সা-সিএনজি অটোরিক্সায় চড়েই ছুটেছেন কর্মস্থলে। যারা ছাতা নিয়ে বের হতে পারেননি, তাদের যাত্রী ছাউনি বা কোনো ভবনের নিচে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। তবে দমকা হওয়ার কারণে কম-বেশি সবাইকেই ভিজতে হয়েছে।  
মিরপুর থেকে গুলিস্তানগামী একটি বাসের চালক আবুল হোসেন বলেন, সকাল থেকেই বৃষ্টির কারণে আমাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। যাত্রী তো ওঠতেই পারছে না। তারপর আবার রাস্তায় জ্যামের কারণেও আজ মালিকের জমা ওঠাতে পারবো কি না সন্দেহ আছে।  
একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন মোতাসিম বিল্লাহ। তিনি বলেন, আমার বাসা মিরপুর সেনপাড়ায়, অফিস গুলিস্তানে। সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। আর গাড়িতে ওঠতে গিয়েও বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে, অফিসে তো যেতেই হবে। এভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে যাতায়াত খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।  
এদিকে অন্যদিনের তুলনায় এদিন রিক্সা, সিএনজি অটোরিক্সাসহ তিন চাকার বাহনও কম দেখা গেছে রাস্তায়। ফলে কাছের গন্তব্যে যেতে যারা এ ধরনের বাহন ব্যবহার করেন, তাদেরও কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়। আবার যেসব রিক্সা-অটোরিক্সা রাস্তায় আছে, তারা ভাড়া বেশি হাঁকছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কক্সবাজারে বাধা মানছেন না পর্যটকরা ॥ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নি¤œচাপের প্রভাবে কক্সবাজারে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠেছে। জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে কূলে আঘাত হানছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কক্সবাজার শহরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কক্সবাজার উপকূলকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সমুদ্র উপভোগ করছেন কক্সবাজারে আগত পর্যটকরা। সমুদ্র পাড়ে জড়ো হয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ উত্তাল সমুদ্রেই গোসলে নেমেছেন। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করা সি সেইফ লাইফ গার্ডের সিনিয়র ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন ভুট্টু বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল উত্তাল হয়ে  ওঠেছে। জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে কূলে আঘাত হানছে। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের সাগরে গোসলে না নামতে নিষেধ করলেও অনেকেই মানছেন না। 
কুমিল্লা থেকে আগত পর্যটক শারমিন বলেন, বুধবার থেকে কক্সবাজারে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে আমরা এক প্রকার ঘরবন্দি হয়ে পড়ি। তবে বৃহস্পতিবার রাতে চলে যাব। তাই একটু গোসল করতে আসছি। এই মুহূর্তে সাগর উপভোগ করতে খুব ভালো লাগছে। আরেক পর্যটক জিসান বলেন, উত্তাল সাগর দেখতে ভালো লাগে। তাই উত্তাল সাগর দেখতে স্ত্রীকে নিয়ে সাগর পাড়ে আসা।

প্যানেল

×