ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শূন্যে নেমেছে লোডশেডিং

তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় পল্লী অঞ্চলে সমস্যা হয়েছিলো : নসরুল হামিদ

প্রকাশিত: ১৯:০৯, ৬ মে ২০২৪; আপডেট: ১৯:১০, ৬ মে ২০২৪

তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় পল্লী অঞ্চলে সমস্যা হয়েছিলো : নসরুল হামিদ

সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

তীব্র গরম শেষে বৃষ্টিতে যখন স্বস্তি এসেছে জনজীবনে তখন বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, চাহিদা কমায় দেশে লোডশেডিং নেমে এসেছে শূন্যের কোটায়। এমন পরিস্থিতি সামনের দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলেও দাবি করা হয়। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকার কারণে এবং চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোতে তাপপ্রবাহে দেশের কোথাও কোথাও লোডশেডিং করতে হয়েছে। কিন্তু সামনের দিনগুলোতে সমস্যা হবে না। 

সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে কিছু কিছু অঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের অনেক স্থানে। এটা গত এক মাস ধরে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ছিল,  সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। এছাড়া, তেলেরও স্বল্পতা ছিল। এ সব বিষয় নজরদারিতে নিয়ে আমরা এখন একটা ভালো পজিশনে এসেছি। 

লোডশেডিংয়ের বিষয়ে সংসদেও আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীও ওয়াকিবহাল। গ্রামাঞ্চলে যত দ্রুত পারা যায় তার ব্যবস্থা নিতে তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা নিয়েছি, এখন আমরা ভালো অবস্থায় আছি। গ্রামের লোডশেডিং কমাতে শহরে বাড়বে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় না কোথাও লোডশেডিং করে আরেক স্থানে দিতে হবে। আমি মনে করি, আগের চেয়ে অবস্থা অনেক ভালো।

তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্যদের অধিকার আছে সংসদে যেকোনো বিষয় নিয়ে কথা বলার। তারা নিজ নিজ এলাকার সমস্যা তুলে ধরেছেন। সেগুলো প্রকাশ করেছেন। বিদ্যুৎ খাতে অর্থ মন্ত্রণালয় টাকা ছাড় করা শুরু করেছে। সেটা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।

নসরুল হামিদ বলেন, উৎপাদনে সর্বোচ্চ রেকর্ড হলেও সর্বোচ্চ চাহিদাও রয়েছে। এবার গত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। এটার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। আমাদের যতটুকু প্রস্তুতি ছিল  সে পর্যন্ত আমরা দিয়েছি। তার ওপরে আমরা যেতে পারতাম। কিন্তু আমাদের হাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল না।

একই দিন দুপুরে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিংগাপুরের নন-রেসিডেন্ট হাইকমিশনার ডেরেক ল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার উত্তরোত্তর বাড়ছে। সার্বিকভাবে আমরা অটোমেশনের দিকে যাচ্ছি। যা বিনিয়োগের সুযোগ বাড়াচ্ছে। আগামী ৫ বছরে প্রযুক্তি খাতে ৫০ থেকে ৬০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।

হাইকমিশনার সিংগাপুরের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনাকালে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জালানি নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এসময় পারমাণবিক বিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ, পরিস্কার বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুতের মূল্য, স্মার্ট গ্রীড, ডাটা সেন্টার, এলপিজি ও এলএনজি টার্মিনাল, স্টোরেজ সিস্টেম, রিফাইনারি, অটোমেশন, বিদ্যুৎ আমদানি ও রপ্তানি নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়।

 

স্বপ্না

×