ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে 

মুদ্রাস্ফীতি ও  দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা 

প্রকাশিত: ১৯:০১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪

মুদ্রাস্ফীতি ও  দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা 

মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  •  রাষ্ট্রপতির ভাষণ অনুমোদন 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বৈঠকে মুদ্রাস্ফীতি এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
 
আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রথম বৈঠকে বসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা; দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের জন্য রাষ্ট্রপতির ভাষণ অনুমোদন করা হয়েছে এ বৈঠকে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে এ বৈঠক বসে। সভার শুরুতে মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ দুই সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।  

মন্ত্রীদের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন প্রতিমন্ত্রীও আমন্ত্রিত হিসেবে প্রথম দিনের বৈঠকে অংশ নেন।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার পূরণে কর্মপরিকল্পনা নিতে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে এসে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, “আজকের বৈঠকে একটি মাত্র এজেন্ডা ছিল। সেটা হচ্ছে সামনে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিয়ে থাকেন। নিয়ম অনুযায়ী সেই ভাষণ মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়। আজকে সেই অনুমোদন হয়েছে।”

মূল্যস্ফীতি এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে ‘সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ’নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে সচিব বলেন, “বিশেষ করে আগামী রোজার মাসে দ্রব্যমূল্য ও রোজা সংশ্লিষ্ট পণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন।

“প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়গুলোকে বলেছেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যে নির্বাচনি ইশতেহার দেওয়া হয়েছে সেটা অনুযায়ী সব মন্ত্রণালয় যেন কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়। কৃষি উৎপাদন যেন কোনো অবস্থায় ব্যাহত না হয় সেদিকে নজর দিতে বলেছেন। কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার তৈরি করারও নির্দেশনা দিয়েছেন।”

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভার্নমেন্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন। যে মন্ত্রণালয়ের যে অংশ এসব স্তম্ভের সঙ্গে জড়িত, তাদেরকে সে অনুযায়ী গুরুত্ব দিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে বলেছেন।

এছাড়া যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে, সেগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

“নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সেটা কীভাবে জনগণের কল্যাণে লাগবে সেটা ভালোভাবে পরীক্ষা করতে বলেছেন। সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবহিদিতার কথা বলেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পগুলো যেন প্রকৃত মানুষরা পায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন,” বলেন সচিব।

এছাড়া নারী উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণে ও নতুন বাজার অনুসন্ধান; রপ্তানি বাড়ানোর জন্য চামড়া ও চামড়াজাত, পাট ও পাটজাত এবং কৃষিজাত পণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া, এগুলোকে প্রয়োজনে পোশাক খাতের মত সহায়তা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আইসিটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন, যাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। যুব সমাজের জন্য খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টির দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন। অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতাকে সমন্বিতভাবে মোকাবেলা করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।”

এস

সম্পর্কিত বিষয়:

×