স্ত্রী দাবিদার ৫ নারী।
উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার পড়ে নিহত ৫ জনের মরদেহ আজ মঙ্গলবার হাসপাতালে নিতে আসেন স্বজনরা। তবে এসময় নিহত রুবেলের মরদেহ নিতে এসেছেন পাঁচজন নারী। তারা প্রত্যেকেই রুবেলের স্ত্রী বলে দাবি করছেন। ফলে দেখা দেয় জটিলতা।
রেহানা নামের এক নারী দাবি করেন, ৩০ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। তিনিই প্রথম স্ত্রী। সেই ঘরের প্রথম ছেলেসন্তান হৃদয় সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরেন। রেহানার বোনজামাই ও রুবেলের ভায়রাভাই রহমত বলেন, আমরা শরীয়তপুরে থাকি। আমাদের রুবেল বায়িং হাউজের ব্যবসা করতেন বলে জানতাম। আমরা তেমন একটা ঢাকায় আসতাম না। মৃত্যুর খবর শুনে আসলাম। শুনেছিলাম সে দ্বিতীয় আরেকটা বিয়ে করেছেন।
দ্বিতীয় স্ত্রী দাবিদার শাহেদা জানান, তার ঘরে রত্না নামে ১৪ বছরের একটি মেয়ে আছে। তার বাড়ি মানিকগঞ্জ সিংগাইর এলাকায়। ঢাকায় উত্তরা থাকেন। তার সঙ্গে ১৯৯৯ সালে বিয়ে হয়েছে। তিনি নিজেকে প্রথম স্ত্রী দাবি করেন।
তৃতীয় স্ত্রী দাবিদার সালমা আক্তার পুতুল। তিনি মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় থাকেন। ঘরে বসে সেলাই মেশিনের কাজ করেন। ২০১৪ সালে রুবেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। রুবেলের সম্পর্কে তিনি জানতেন সে একজন ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ী। তবে, রুবেলের সঙ্গে বিয়ের কোনো সনদ নেই তার।
তিনি বলেন, আমি জানতাম তার স্ত্রী আছে মাত্র একজন। প্রথম ঘরের স্ত্রী অসুস্থ বলে আমাকে বিয়ে করেছে। কিন্তু বিয়ের পর দেখি আরও অনেকের সঙ্গেই তার সম্পর্ক আছে। পরে আমি প্রতারণার মামলা করি। মামলা আমার পক্ষেও আছে।
আরেকজন স্ত্রী দাবিদার পাতা খন্দকার। তিনি জানান, ২০২০ সালের দিকে তাদের বিয়ে হয়। ডিবি পরিচয়ে তাকে বিয়ে করেন রুবেল। তিনিও নিজেকে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন। যে গাড়িটি চাপা পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে, সেটিও কেনার সময় ৬ লাখ টাকা দিয়েছেন তিনি।
এদিকে প্রথম স্ত্রীর ছেলেসন্তান বেঁচে যাওয়া হৃদয় জানান, তার জন্ম ১৯৯৫ সালে। অন্যদিকে শাহেদার সঙ্গে বিয়ে হয় ১৯৯৯ সালে। কিন্তু শাহেদা আরেক স্ত্রী আছে জানতেন না বলেই নিজেকে প্রথম স্ত্রী দাবি করেন তিনি।