কোরবানি পশুর হাট
পবিত্র ঈদ-উল-আজহার বাকি আর মাত্র এক সপ্তাহ। পুরোদমে প্রস্তুত পশু হাটগুলোর অবকাঠামো। তৈরি করা হয়েছে পশু রাখার সারি সারি টিনের প্যান্ডেল। তার মধ্যে বসানো হয়েছে বাঁশের খুঁটিসহ একাধিক খাজনার স্থান। বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে ট্রাকে কোরবানির পশু নিয়ে আসা হচ্ছে হাটগুলোতে। ইতোমধ্যেই ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠতে শুরু করেছে পশু হাটগুলো। সেইসঙ্গে বাড়ছে বেচাকেনা। তবে গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম একটু বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে বেপারিরা বলছেন, পশু খাদ্যের দাম ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিটি গরুর পেছনে এ বছর বেশি খরচ হয়েছে। তবে কোন কোন এলাকায় পশু আমদানি বেশি হওয়ায় দাম তুলনামূলক কমও দেখা গেছে। এদিকে করোনার উর্ধগতিতে হাটগুলোতে এবারও কঠোর করা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মানার নিয়মনীতি। খবর স্টাফ রিপোর্টার, নিজস্ব সংবাদদাতা ও সংবাদদাতাদের।
চট্টগ্রাম ॥ নগরীতে এবার তিনটি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি তিনটি অস্থায়ী হাটও বসার অনুমতি পেয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। তবে করোনার উর্ধগতিতে হাটগুলোতে এবারও কঠোর করা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মানার নিয়মনীতি। কিন্তু এখনও কোরবানির বাকি এক সপ্তাহ। দরদাম যাচাই ও পশু দেখাদেখি চলছে। পশুর বেপারি ও ইজারাদাররা বলছেন, প্রতিনিয়ত পশু কেনাকাটা বাড়ছে।
মীরসরাই, চট্টগ্রাম ॥ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, মীরসরাইয়ে কোরবানি করা হবে গরু, ছাগল, দুম্বা, ভেড়াসহ প্রায় ৩৫-৪০ হাজার পশু। কিন্তু এখানে ছোট-বড় খামার ও প্রান্তিক কৃষকের কাছে কোরবানিযোগ্য পশু মজুদ রয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার। ফলে চাহিদার তুলনায় ১৫ হাজার বেশি কোরবানির পশু মজুদ রয়েছে মীরসরাইয়ে। তবে পশু খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বেড়েছে খরচ।
রাজবাড়ী ॥ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহার করে দক্ষিণ-পশ্চিঞ্চলের ২১ জেলা থেকে গবাদি পশুবাহী ট্রাক রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় যেতে শুরু করেছে। তবে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ না থাকায় গবাদি পশুবাহী এসকল ট্রাক সহজে দুর্ভোগমুক্ত থেকে ফেরি পার হয়ে গন্তব্য স্থানে যেতে পারছে।
চুয়াডাঙ্গা ॥ ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার পশুহাটগুলো। সেইসঙ্গে বেড়েছে পশু বেচাকেনা। তবে পশু আমদানি বেশি হওয়ায় দাম তুলনামূলকভাবে কম। জেলার শিয়ালমারী, ডুগডুগি, মুন্সীগঞ্জ, গোকুলখালী, নয়মাইল এবং আলমডাঙ্গা হাট ঘুরে দেখা গেছে জেলার পশু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যেতে শুরু করেছে।
বাগেরহাট ॥ কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বাগেরহাটে ৪০ হাজারের অধিক গবাদি পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। জেলার নয় উপজেলায় ২২টি হাটে এসব পশু কেনাবেচা হবে। এ বছর পশুর ভাল দাম পাবেন বলে খামারিরা আশা করছেন। বাগেরহাটে প্রথম সারির ৩টি খামার হলো কররি এলাকায় ‘এভারগ্রিন ডেইরি এ্যান্ড ফ্যাটেনারি ফার্ম’ রামপালের ভাগায় ‘কামাল এ্যাগ্রো ফার্ম’ এবং ডেমার কালিয়ায় ‘রকি এ্যাগ্রো ফার্ম’।