ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

রাজধানীর হাতিরঝিল ও মতিঝিলে ১০ প্রতারক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৯:২৮, ২২ মার্চ ২০২১

রাজধানীর হাতিরঝিল ও মতিঝিলে ১০ প্রতারক গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর হাতিরঝিল ও মতিঝিল এলাকা থেকে অনলাইনভিত্তিক ভুয়া টিভি চ্যানেলে সাংবাদিক প্রতিনিধি নিয়োগকারী একটি প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ১০ জনকে আটক করেছে র‍্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, চক্রের মূলহোতা শাহীন খান, নূর হোসেন ওরফে নুরুল ইসলাম নাহিদ। আর তাদের সহযোগী রিয়াদ মাহমুদ, রিমন পারভেজ, জয়নুল আবেদীন, আকবর হোসেন, রাজিব হোসেন, রায়হান পারভেজ, ইমরুল কায়েছ ওরফে ফয়েজ ও আইয়ুব খান। সোমবার ভোররাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতারদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যান্ডসহ ক্যামেরা, কম্পিউটার, ভিজিটিং কার্ড ও ব্যানার জব্দ করা হয়। র‍্যাব-৪-এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদনহীন অনলাইন ভিত্তিক ভুয়া স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট টিভি (বিএসটিভি নিউজ ২৪)-এর মাধ্যমে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগের নামে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। চক্রটি প্রতারণার কৌশল হিসেবে রিপোর্টার নিয়োগের নামে বিভিন্ন জেলায় তাদের বিশেষ প্রতিনিধি নিয়োগ করেছে বলে জানায়। নিজেরা নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়ি ব্যবহার করত। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ফটোশপের মাধ্যমে এডিট করে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট টিভি (বিএসটিভি নিউজ ২৪)’ চ্যানেলের কথিত লোগো ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিপোর্টার নিয়োগের চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছিল। এই বিজ্ঞাপন দেখে চাকরির জন্য যোগাযোগ করলে জনপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতো চক্রটি। এ কার্যক্রমের জন্য মাঠ পর্যায়েও তাদের বিভিন্ন সহযোগী রয়েছে। চক্রের মূলহোতা র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃত শাহিন খান ও নূর হোসেন ওরফে নুরুল ইসলাম নাহিদ তাদের প্রতারণার কৌশল জানিয়েছেন। গ্রেফতারকৃত শাহিন খান র‌্যাবকে জানায়, তিনি এসএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। এরপর ২০০৩ সালের দিকে মতিঝিল এলাকায় ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার পাশাপাশি বেবি ফুডসের পরিবেশক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০২০ সালে ভুয়া ওই টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের শিক্ষিত বেকারদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা নেন। ভুয়া এই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসেবে শাহিন খান ও পরিচালক হিসেবে যুক্ত হন নুর হোসেন নাহিদ। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সেখানে তারা দুজন মিলে সমানতালে প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন। র‌্যাব-৪-অধিনায়ক জানান, শাহিনের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীরা বাসা ও অফিসের ঠিকানায় এসে টাকা ফেরত চাইলে অস্ত্রের মাধ্যমে ভয়ভীতি ও হুমকি দেখিয়ে তাদেরকে তাড়িয়ে দিতো। তার নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। একইভাবে শাহিন খানের সহযোগী নুর হোসেনও প্রতারণা করতেন। গ্রেফতার বাকি আটজন বিভিন্নভাবে মূলহোতা শাহীন খান ও নূর হোসেনকে প্রতারণার কাজে সহায়তা করতেন।
×