ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

স্বপ্ন পূরণ হবে কি গরিব মেধাবী মেয়েটির?

প্রকাশিত: ০১:৩৪, ৯ জুলাই ২০২০

স্বপ্ন পূরণ হবে কি গরিব মেধাবী মেয়েটির?

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ প্রভা গোলদার এবার বাঘারপাড়ার বাকড়ি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে প্রভার পরীক্ষায় ভাল ফল হলেও তার শিক্ষা নিয়ে শঙ্কিত পরিবার। কারণ প্রভার মা বাসন্তী গোলদারের শরীর অসুস্থ। তবুও সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করতে স্বামী অসীম গোলদারের সঙ্গে দিনমজুরের কাজে বের হন তিনি। স্বামী-স্ত্রী মিলে অন্যের জমিতে কাজ করে যা পান, তা দিয়েই চলে পাঁচ সদস্যের সংসার। সঙ্গে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ। বাঘারপাড়া উপজেলার এগারখানের কমলাপুর গ্রামে বসবাস হতদরিদ্র এই দম্পতির। সন্তানের এই কৃতিত্বপূর্ণ ফলে খুশি হলেও তাদের সামনে রয়েছে ঘোর অমানিশা। আদরের মেয়ের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন যাতে ফিকে না হয় সেজন্য প্রাণান্ত চেষ্টা তাদের। কিন্তু কলেজে ভর্তিসহ লেখাপড়ার খরচ মেটানোর সাধ্য তো তাদের নেই! প্রতিবেশী কলেজ শিক্ষক সুদীপ গুপ্ত বলেন, ‘প্রভা জিপিএ-৫ পেলেও তার পরিবার রয়েছে স্বপ্নভঙ্গের আশঙ্কায়। পরের জমিতে কাজ করে তার বাবা-মা এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন মেয়েকে। শুধু অর্থের কারণে শিক্ষা জীবনের ইতি ঘটবে কিনা- তা নিয়ে হতাশায় নিমজ্জিত তার বাবা-মা।’ অসীম-বাসন্তী দম্পতি দিনমজুরের কাজ করে তিন ছেলে-মেয়েকে লেখাপড়া শেখাচ্ছেন। মাঠে সামান্য আবাদি জমি রয়েছে তাদের। তবে সেখান থেকে যে ফসল পাওয়া যায়, তা দিয়ে বছর ওঠে না। বাধ্য হয়ে অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করেন তারা। এত কষ্টের মধ্যেও তাদের বড় ছেলে অমিত গোলদার ২০১৬ সালে যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে এমএ পাস করেছেন। তবে এখনও তার চাকরি মেলেনি। দু’-একটি টিউশনি করে বেঁচে থাকা আর চাকরি খোঁজার খরচ জোগাড় করেন তিনি। দম্পতির ছোট ছেলে অন্তু গোলদার নড়াইলের তুলারামপুর কলেজে কারিগরি শাখায় উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। অন্তু মাঝে মধ্যে বাবা-মায়ের সঙ্গে দিনমজুরি করে।
×