ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

পরিকল্পিতভাবে নিজের শিশু সন্তানকে হত্যা করেছে পাষন্ড পিতা

প্রকাশিত: ২১:৪৪, ২ জুলাই ২০২০

পরিকল্পিতভাবে নিজের শিশু সন্তানকে হত্যা করেছে পাষন্ড পিতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পারিবারিক কলহ ও শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুকের চার লাখ টাকা না পেয়ে পরিকল্পিতভাবে নিজের তিন বছরের সন্তান মাহিমকে হত্যা করেছেন পাষন্ড পিতা জুলহাস। পরিকল্পনা মাফিক শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শিশু মাহিমকে মাতুয়াইল বাসার সামনে থেকে অপহরণ করে প্রতিবেশী জুয়েল। এর পর তারা ভিকটিমকে ডেমরার দেইল্লা নির্জন এলাকায় নিয়ে জুসের সঙ্গে আটটি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পান করান। মাহিমের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সন্ধ্যায় মৃধাবাড়ি সংলগ্ন গ্রীন মডেল টাউন এলাকার কাশবনের ভেতর বালিচাপা দিয়ে রেখে আসে পাষন্ড পিতা জুলহাস ও তার সহযোগী জুয়েল। ছেলেকে হত্যার পর সোমবার জুলহাস র‌্যাব-১০ এ অপহরণের অভিযোগ করেন। পরে ছেলে হারিয়ে গেছে বলে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি জিডি করেন জুলহাস। বুধবার বিকেলে রাজধানীর কাওরানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মোঃ কাইমুজ্জামান খান এ তথ্য জানান। র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইল মৃধাবাড়ি এলাকায় র‌্যাব-১০ এর একটি অভিযানে অপহরণকারী জুয়েল ব্যাপারীকে (২০) আটক করা হয়। অপহরণকারীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিম শিশু মাহিমের পিতা জুলহাস ওরফে ফারুক ওরফে গুড্ডাকে (৩১) মাতুয়াইল দরবার শরীফ মোড় এলাকা থেকে আটক করা হয়। তিনি জানান, শিশু মাহিমের পিতা জুলহাস আগে থেকেই যৌতুকের টাকা দাবিসহ বিদেশে যাওয়ার জন্য চার লাখ টাকা দাবি করে শশুরবাড়িতে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিল। পারিবারিক কলহ এবং শ্বশুরবাড়ি হতে টাকা না পেয়ে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে নিজের সন্তানকে হত্যার জন্য প্রতিবেশী জুয়েলকে নিয়ে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার (২৭ জুন) জুসের সঙ্গে আটটি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শিশু মাহিমকে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত শিশু মাহিমের মা স্মৃতি আক্তার বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
×