৩৪ দেশ ও অঞ্চলে এখনও থাবা বসাতে পারেনি করোনা

করোনাভাইরাসে নাজেহাল গোটা বিশ্ব। চীন থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে রীতিমতো তা-ব চালাচ্ছে এই ভাইরাস। এর মধ্যেও কিছু দেশ আছে, যেখানে এখনও করোনাভাইরাস হানা দেয়নি। বিশ্বে এরকম দেশ ও অঞ্চলের সংখ্যা ৩৪টি। তার মধ্যে আছে- মধ্য এশিয়ার তাজিকিস্তান, তুর্কেমেনিস্তান, পূর্ব আফ্রিকার দ্বীপদেশ কমোরোস, দক্ষিণাঞ্চলীয় আফ্রিকার দেশ লেসোথো এবং আরও দূরে মাইক্রোনেশিয়া অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র নাউরু, মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ কিরিবাস, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, টোঙ্গা, সামোয়া ও ভানুয়াতুসহ আরও কিছু দেশ। খবর বিবিসি। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত জাতিসংঘ স্বীকৃত ২৪৭টি দেশ এবং অঞ্চলের ২১৩টিতেই কোভিড-১৯ হানা দিয়েছে। এর মধ্যে ১৮৬টি দেশে স্থানীয় পর্যায়ে ভাইরাসটির বিস্তার ঘটেছে, অর্থাৎ কমিউনিটি সংক্রমণ হয়েছে। আর অন্তত ১৬২টি দেশে করোনাভাইরাসে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে কোন কোন দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের কোন খবর না এলেও সেখানে যে কেউ এ ভাইরাস আক্রান্ত হননি তেমন নাও হতে পারে। তার উদাহরণ হতে পারে উত্তর কোরিয়া; সেখানে এখনও কেউ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু এ দেশটির সঙ্গে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় লড়ে যাওয়া চীন, রাশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত আছে। ভাইরাস একেবারেই পৌঁছায়নি এমন দেশগুলোর বেশিরভাগই হচ্ছে ক্ষুদ্র দ্বীপদেশ। যেখানে দর্শনার্থীরা যায় খুব কমই। দেশগুলোর অবস্থানও দূরে। এ থেকে একটি বিষয় বোঝা যায় যে, করোনাভাইরাস ঠেকাতে বিভিন্ন দেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার যে নিয়ম এখন চলছে, সেদিক থেকে এই দ্বীপদেশগুলো প্রকৃতিগতভাবেই বিচ্ছিন্ন থাকায় ভাইরাসের থাবা থেকে তারা সুরক্ষিত রয়েছে। অন্যদিকে, এশিয়ার দেশগুলোতে সীমান্ত দিয়েই আছড়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের ঢেউ। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত এ ভাইরাস চীনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও ১৩ জানুয়ারি থেকে তা হয়ে ওঠে বৈশ্বিক সমস্যা। থাইল্যান্ডে ধরা পড়ে কোভিড-১৯ রোগী।