সড়কে সবজি হাট ॥ যানজট

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ কি শীত, কি গ্রীষ্ম বা বর্ষা। বাঘারপাড়া উপজেলার পুলেরহাট সবজি হাট জমজমাট থাকে বারো মাস। ভোর সাড়ে ৫টা থেকে আশপাশের গ্রামের কৃষকরা টাটকা সবজি ভ্যানগাড়ি বা মাথায় করে নিয়ে আসেন এখানে। মহাসড়ক দখল করে সপ্তাহে দু’দিন মঙ্গল ও শুক্রবার হাট বসে পুলেরহাটে। ব্যস্ততম মহাসড়ক হওয়ায় এখানে ঝুঁকি নিয়েই চলে সবজি বেচা-কেনা। হাটের কারণে কখনও কখনও দূরপাল্লার যানবাহন আটকাপড়ে সৃষ্টি হয় যানজটের। দুর্ভোগ পোহাতে হয় চালক ও যাত্রীদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকরা তাদের খেত থেকে টাটকা সবজি তুলে হাটে বিক্রি করতে এসেছেন। জায়গা সঙ্কুলান না হওয়ায় মূল হাটের জায়গার পাশাপাশি মহাসড়কের ওপর সবজি সাজিয়ে রেখেছেন অনেকেই। ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে সরগরম হয়ে উঠেছে সবজি বাজার। মহাসড়কে হাট বসায় কয়েকটি যানবাহন আটকে থাকতে দেখা যায়। হাটুরেরা জানান, ‘অন্য জায়গায় সবজির হাট নিয়ে গেলে ভাল হয়। তবে বিকল্প স্থানে হাট সরিয়ে নিলে বিক্রি কম হবে। কারণ এ হাট দীর্ঘদিনের’। যানজটে আটকে থাকা ট্রাক ড্রাইভার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায়ই এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। হাটের দু’দিন এ সড়কে ঢোকা খুবই কষ্টকর’। জানতে চাইলে এ হাটের ইজারাদার সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা বলেন, হাটের জায়গা না থাকায় মহাসড়কের ওপর সবজি নিয়ে বসতে হয় বিক্রেতাদের। এ বিষয়ে সরকারের নজর দেয়া উচিত বলেও উল্লেখ করেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা। স্থানীয় বন্দবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খান বলেন, ‘আমি নিজেও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একদিন প্রায় এক ঘণ্টা জ্যামে আটকা ছিলাম। রাস্তার পশ্চিম পাশের ব্রিজ সংলগ্ন একটি বড় পুকুর ভরাট করে দিলেই আর রাস্তার ওপর হাট বসাতে হবে না। বরাদ্ধ না থাকায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি উপজেলা হাটবাজার উন্নয়ন বিষয়ক সভায় একাধিকবার তোলা হয়েছে।