নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ৫ অক্টোবর ॥ ‘আমার বাড়ির স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা-পয়সা লুটের সঙ্গে পুলিশ জড়িত। তা না হলে আমার বাড়িতে সংঘটিত চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও লুটতরাজের ঘটনায় মামলা দায়েরের পরদিনই কি করে আসামিদের দিয়ে পুলিশ পাল্টা মামলা নেয়।’ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুললেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের মনির কান্দি গ্রামের ফাতেমা তুজ্্ জোহরা হাফিজিয়া মাদ্রাসার সাবেক মোহতামিম আওলাদ বিশ্বাস।
সংবাদ-সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি আরও বলেন, আমার জমি-জায়গা নিয়ে এলাকার কিছু সন্ত্রাসী ও উশৃঙ্খল লোকজন দীর্ঘদিন ধরে আমার ও আমার পরিবারের ওপর অত্যাচার জুলুম করে আসছে। তারা গতবছর আমাদের কুপিয়ে শয্যাশায়ী করে, যে ঘটনায় মামলা এখনও চলছে। এরইমধ্যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে ওই সন্ত্রাসীরা আমার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর মুকসুদপুর থানায় অভিযোগ দিলে থানার ওসি বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন সিঁন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলমগীরকে। কিন্তু তিনি মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে আমার বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করে। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে ওই সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে অতর্কিতে হামলা করে, ভাংচুর করে তছনছ করে এবং আলমিরা ভেঙ্গে ৫৬ হাজার টাকা ও ২১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মুকসুদপুর থানায় যোগাযোগ করলে থানার ওসি মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান। বাধ্য হয়ে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার ও মুকসুদপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসপি সার্কেলসহ কিছু সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতায় আমি শেষপর্যন্ত ২৫ সেপ্টেম্বর মুকসুদপুর থানায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও লুটতরাজের মামলা করতে সক্ষম হই। হঠাৎ করে পরদিনই ২৬ সেপ্টেম্বর সেখানে কি করে পুলিশ আসামিদের দিয়ে মামলা নেয়। এতে এটাই প্রমাণ করে, আমার বাড়ির স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা-পয়সা লুটের সঙ্গে উল্লেখিত পুলিশ জড়িত।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: