ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোর গ্যাংয়ের দখলে পটুয়াখালী সরকারী কলেজ

প্রকাশিত: ০৯:২০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 কিশোর গ্যাংয়ের দখলে পটুয়াখালী সরকারী কলেজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ২৯ সেপ্টেম্বর ॥ পটুয়াখালী সরকারী কলেজকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে একাধিক কিশোর গ্যাং। এসব গ্যাংয়ের সদস্যরা কলেজ চলাকালে ক্যাম্পাসে বেপরোয়া মোটরসাইকেল শোডাউনের পাশাপাশি রাত নামতেই কলেজ ক্যাম্পাসে বসাচ্ছে মাদকের আসর। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোবাইল মানিব্যাগ কেড়ে নেয়া কিংবা বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আছে। আর এসব অপরাধী নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরেও হামলা কিংবা ভাংচুরের ঘটনা ঘটাচ্ছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই অসহায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। দিনকে দিন আরও বেপরোয় হয়ে ওঠছে এসব অপরাধী। ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত পটুয়াখালী সরকারী কলেজ। বর্তমানে এই কলেজে ১৬ বিভাগে অনার্স মাস্টার্সের পাশাপাশি ইন্টারমিডিয়েট এবং ডিগ্রী কোর্সে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। প্রতিষ্ঠানটি এখন অনকেটাই বহিরাগতদের দখলে। গত কয়েক বছর থেকে এই কলেজকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বহিরাগতরাই নিয়ন্ত্রণ করছে। কলেজ চলাকালে কলেজের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে বেপরোয়া গতিতে যেমন মোটরসাইকেল চালানো হয় তেমনি ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ কিংবা শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার মতো ঘটনায় ঘটছে অহরহ। এ ছাড়া সন্ধ্যার পর কলেজ হোস্টেলে এবং আশপাশের এলাকায় মাদকের আসর বসাচ্ছে একাধিক গ্রুপ। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এখন বিব্রত। এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জয়দেব স্বজ্জন বলেন, ‘আমার হাতে তো লাঠি নেই, আমার কাছে আইনও নেই। আমরা বিভিন্ন সময় বহিরাগতদের কলেজ টাইমে প্রবেশ নিষেধ এবং বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালাচলে নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিলেও কেউ তা মানছে না। এ নিয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় অবহিত করাসহ পুলিশ সুপার এবং সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে একাধিকবার অবহিত করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।’ পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন সময় লিখিত অভিযোগ জানায়নি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হয়তো মৌখিকভাবে এসব বিষয় অলোচনা হয়েছে।
×