ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে চিংড়ির মড়কে দিশেহারা চাষী

প্রকাশিত: ১০:২৪, ২২ আগস্ট ২০১৯

 বাগেরহাটে চিংড়ির  মড়কে দিশেহারা  চাষী

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ চিতলমারীতে হঠাৎ করে ঘেরের বাগদা চিংড়িতে মড়ক দেখা দেয়ায় চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মাছ মরার কারণ হিসেবে তারা ‘হোয়াইট স্পট ও রেড’ ভাইরাসকে দায়ী করছেন। এই ভাইরাসের আক্রমণে ঋণগ্রস্ত কয়েক হাজার চাষী সর্বশান্ত হতে চলেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে উদ্বেগের সঙ্গে এমনটাই জানিয়েছেন খিলিগাতী-ডুমুরিয়া গ্রামের মৎস্য চাষীরা। এ উপজেলায় মোট চিংড়ি ঘেরের সংখ্যা ১৬ হাজার ৭১০টি। যার মোট আয়তন ১৬ হাজার ৮৩৩ একর। এরমধ্যে ১৩ হাজার ৭৫৮টি ঘেরে গলদা ও ২ হাজার ৯৫২টি ঘেরে বাগদা চিংড়ির চাষ হয়। এখানের চাষীরা বছরে ৫৮১ মেট্রিকটন বাগদা ও ২ হাজার ৬৫০ মেট্রিকটন গলদা চিংড়ি এবং বিপুল পরিমাণ সাদা মাছ উৎপাদন করে থাকেন। এখানে ৭ হাজার ৫০০ জন মৎস্য চাষী ও ২ হাজার ৭০২ জন মৎস্যজীবী রয়েছেন। সেই সঙ্গে এই চিংড়ি শিল্প ও মাছ চাষের সঙ্গে এ অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের ভাগ্য জড়িত রয়েছে। এ বছরের শুরুতে ঋণগ্রস্ত চাষীরা বাগদা চিংড়ির উৎপাদন দেখে অনেকটা আশায় বুক বেধে ছিলেন। মাছ বিক্রি করে তাদের ধারদেনা মিটবে। কিন্তু হঠাৎ করে ঘেরের উৎপাদিত বাগদা চিংড়ি মারা যাওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের বিকাশ বাড়ই, বিধান ম-ল, লিটন বাছাড়, বিমল ম-ল, শ্রীরামপুরের জাকির মোল্লা, তারাপদ ব্রহ্ম, পারডুমুরিয়ার নেয়ামুল শেখ, উত্তম বাড়ই, রাসেল শেখ ও ঝালডাঙ্গার পিনাক ভক্তসহ অনেক চিংড়ি চাষী জানান, এ বছর তারা দেনায় দেনায় জর্জরিত হয়েও বড় আশা নিয়ে চিংড়ি মাছের চাষ শুরু করেছিলেন। মাছের উৎপাদনও ভাল হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে হোয়াইট স্পট ও রেড ভাইরাসে ঘেরের বাগদা চিংড়ি মরে যাওয়ায় তারা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন। এ ঘটনার পরও তারা স্থানীয় মৎস্য অফিসের কোন পরামর্শ বা সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ তুলেছেন। এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল জিল্লুর রহমান রিগান জানান, চিংড়ি মাছের হোয়াইট স্পট ও রেড ভাইরাস সম্পর্কে তার কাছে কোন তথ্য বা খবর নেই। তবে স্টক ও অক্সিজেন ফেলসহ নানা কারণে মাছ মরতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
×