ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

শিশু শরণার্থী থেকে প্রেসিডেন্ট!

প্রকাশিত: ১১:১৮, ৬ আগস্ট ২০১৯

শিশু শরণার্থী থেকে প্রেসিডেন্ট!

যুদ্ধবিধ্বস্ত লাটভিয়া থেকে পরিবারের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন ভায়রা ভিকে- ফ্রেইবের্গা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির নাৎসি বাহিনী ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যের দখলদারিত্বে পড়ে তার দেশ। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে অন্য দেশে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়েছে। যখন নিজ দেশে ফিরলেন, তখন প্রেসিডেন্ট হয়েই ফিরলেন। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত লাটভিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হন তিনি। শিশু শরণার্থী থেকে প্রেসিডেন্ট হলেন তুমুল জনপ্রিয় এই নারী। তবে জীবনের বড় একটি অংশ অন্য দেশে কাটালেও লাটভিয়ান হিসেবেই বড় হয়েছেন ভায়রা। তিনি বলেন, আমার মা-বাবা কখনই আমাকে ভুলতে দেননি যে আমি লাটভিয়ান। ১৯৪১ সালের জুলাই মাসে জার্মানরা লাটভিয়ায় ঢুকে পড়ে এবং অনেক সোভিয়েতকে বন্দী করে। ছোটবেলায় দেশের উত্তাল পরিস্থিতির কিছু কিছু বেশ মনে আছে ভায়রার। বিশেষ করে ১৯৪৪ সালের কথা। ওই সময় তার বয়স ছিল ছয় বছর। রাশিয়ার সেনাদল কমিউনিস্ট রেড আর্মি লাটভিয়ায় ফিরে এলো। ওই সময়ের কথা বলতে গিয়ে ভায়রা বলেন, ‘লাল পতাকা ও মুঠিবদ্ধ হাতের সেনাদের দেখে অভিভূত হতাম। তাদের কেউ কুচকাওয়াজ করার সময় পতাকা হাতে হাত মুঠিবদ্ধ করলে আমিও আমার হাত উঁচিয়ে মুঠি করে চিৎকার করে বলতাম ‘হুররে!’ ওই সময় মাকে দেখতাম ল্যাম্পপোস্টে হেলান দিয়ে অসহায় ভঙ্গিতে তাকিয়ে থাকতেন। তার গাল বেয়ে নামত অশ্রু। তিনি বলতেন, না মা, এটা করো না। -বিবিসি
×