ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

আয়েশা ফয়েজ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৪ সাহিত্যিক

প্রকাশিত: ১১:১১, ২৪ মার্চ ২০১৯

আয়েশা ফয়েজ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৪ সাহিত্যিক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর নির্মমতায় হারাতে হয় পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীকে। স্বাধীনতার পর ছয় ছেলে-মেয়েকে নিয়ে দাঁড়াতে হয় অনিশ্চিত জীবনের পথে। তবে জীবন সংগ্রামে তিনি পথ হারান নি। অবিচল দৃঢ়তায় সহায়-সম্বলহীন জননীর পরিচর্যায় প্রতিটি সন্তানই প্রতিষ্ঠিত হয় সমাজে। এমনই এক রত্নগর্ভা মায়ের নাম আয়েশা ফয়েজ। প্রয়াত নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ, শিক্ষাবিদ ও কথাশিল্পী মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং কার্টুনিস্ট ও রম্য লেখক আহসান হাবীবের মা। এ পরিচয়ের বাইরেও তিনি নিজেও একজন লেখক। দুটি আত্মজৈবনিক গ্রন্থের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করেন দেশের সাহিত্যাঙ্গনে। শনিবার ছিল তার জন্মদিন। এ উপলক্ষে প্রদান করা হলো প্রকাশনা সংস্থা তাম্রলিপি প্রবর্তিত ২০১৮ ও ২০১৯ সালের আয়েশা ফয়েজ সাহিত্য পুরস্কার। ২০১৮ সালে সামগ্রিক সাহিত্যিক অবদানের জন্য সালেহা চৌধুরী ও নবীন বিভাগে সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি এবং ২০১৯ সালে সামগ্রিক সাহিত্যিক অবদানের জন্য জাপানী লেখক নাওমি ওয়াতানাবে ও নবীন বিভাগে মিথিলা আকন্দ এ পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কার হিসেবে তারা পেয়েছেন যথাক্রমে ৫০ হাজার টাকা ও ২৫ হাজার টাকা। শনিবার বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত তিন লেখকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বাচিকশিল্পী অসীম বিভাকর, আহসান হাবীব ও আয়েশা ফয়েজের বড় মেয়ে অধ্যাপিকা সুফিয়া হায়দার। দেশের বাইরে অবস্থান করায় সালেহা চৌধুরী পুরস্কার গ্রহণ করতে পারেননি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন তা¤্রলিপির প্রকাশক তারিকুল ইসলাম রনি। মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, আমার মা সাদাসিধে ধরনের মহিলা ছিলেন। আমার মা এ কারণে আমাদের কাছে তিনি গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদের কাছে নাও হতে পারেন। কিন্তু এ মা না থাকলে আমরা কেউ বেঁচে থাকতে পারতাম না। আমাদের মায়ের ভালবাসার শতকরা ৯৫ ভাগ পেয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ। বাকি পাঁচ ভাগ আমরা পাঁচ ভাই-বোন। অসীম বিভাকর বলেন, আয়েশা ফয়েজ সব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নিজে দাঁড়িয়েছেন, সন্তানদের দাঁড় করিয়েছেন। তিনি অন্যের স্বপ্নকে পরিচর্যা করেছেন আমৃত্যু। এ কারণে তিনি অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।
×