ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের কোন বিকল্প নেই : কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের কোন বিকল্প নেই :  কৃষিমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি। কৃষির উন্নয়ন আর কৃষকের স্বার্থে কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরনের বিকল্প নেই। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে ইতোমধ্যে খোরপোষ কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তরিত হচ্ছে। ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে রবিবার রাতে জাতীয় সংসদে ‘ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে শীর্ষে বাংলাদেশ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা প্রসঙ্গে ’ সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাদেক খানের মনোযোগ আকর্ষণ নোটিশের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। বিগত ৫ বছরে ধানের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ২৪ লাখ টন, ভুট্টা ১৭ লাখ টন। সমপরিমাণ বেড়েছে আলুর উৎপাদনও। আর আমের উৎপাদন বেড়েছে ৮ লাখ ৬৭ হাজার টন। প্রতিবছর জমি কমে যাওয়া, জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এবং জলবায়ূ পরিবর্তনসহ নানা চ্যালেঞ্জ থাকা সত্বেও বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের সময়োপযোগি পদক্ষেপ নেয়ায় ধানসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট রয়েছে। ড. আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, বর্তমান সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কৃষিখাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগি সিদ্ধান্তের কারণে কৃষির অগ্রযাত্রা আজ বিশ্বে নন্দিত। তিনি সার ব্যবস্থাপনায় আমুল পরিবর্তন আনেন। প্রতিটি ইউনিয়নে সার ডিলার ও একজন করে খুচরা সার বিক্রেতা নিয়োগ করা হযেছে। তিনি সারের ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের সমপরিমাণ অর্থ উন্নয়ন সহায়তা প্রদানের নীতি গ্রহণ করেন। চারদফায় সারের মূল্য কমনোর ব্যবস্থা করা হয়। ফলে সারের বাজার স্তিতিশীল ও সারের ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে।
×