ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

পায়ে ফোঁড়া ॥ খালেদা হাজির হননি আদালতে

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯

পায়ে ফোঁড়া ॥ খালেদা হাজির হননি আদালতে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। এদিন খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩’র বিচারক আবু সৈয়দ দিলদার এই দিন ধার্য করেন। এদিন দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পায়ে ফোঁড়া ওঠায় আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার, জয়নুল আবেদীন মেসবাহ, তাহেরুল ইসলাম, আকরাম হোসেন, আবদুল হান্নান ভূঁইয়া প্রমুখ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল। এই মামলায় বুধবার খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার দিন ধার্য ছিল। তবে অসুস্থ থাকায় এদিন তাকে আদালতে হাজির না করে আদালতে কাস্টডি ওয়ারেন্ট পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। কাস্টডি ওয়ারেন্টে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ, তাই তাকে আদালতে উপস্থিত করানো যায়নি। আদালতের শুনানিতে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, খালেদা জিয়ার পায়ে ফোঁড়া ওঠায় তাকে আদালতে আনা সম্ভব হয়নি। তাই কারা কর্তৃপক্ষ কাস্টডি ওয়ারেন্ট পাঠিয়েছে। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেও মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি করা যেতে পারে। তার কারণে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি হচ্ছে না। অপরদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বলেন, আমরা জানতে পেরেছি খালেদা জিয়া অসুস্থ। তার অনুপস্থিতিতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির কোন সুযোগ নেই। মামলাটিতে জরুরী বিধিমালা সংযুক্ত এ মামলার অভিযোগ পত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। রিট আবেদনের কারণে প্রায় ৮ বছর নিম্ন আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক মোঃ গোলাম শাহরিয়ার ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি তদন্ত করে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মোঃ জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২৪ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুইয়া, সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর ওই সময়ের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রাহমান কোকো, এম কে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম এবং বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম মারা গেছেন। মামলাটিতে বর্তমান আসামির সংখ্যা ১৭ জন।
×