ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

উৎসব পরিবেশে শন্তিপূর্ণ নির্বাচন কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

 উৎসব পরিবেশে  শন্তিপূর্ণ  নির্বাচন কাদের

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ৩০ ডিসেম্বর ॥ উৎসবমুখর পরিবেশে শন্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন হয়েছে। দু’একটা বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। তবে সেটি নির্বাচনের আমেজ নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট নয়। এই প্রচ- শীতকে উপেক্ষা করেই মহিলারা ভোটকেন্দ্রে চলে এসেছে পুরুষেরাতো আছেই। কথাগুলো বলেছেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৫ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ওবায়দুল কাদের। তিনি রবিবার তার নিজ ভোটকেন্দ্র বসুরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উদয়ন প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ভোটপ্রদান শেষে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এ কথাগুলো বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, সারাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোটের জয়লাভের বিষয়ে আমরা শতভাগ আশাবাদী। কোন সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি যাতে নির্বাচন বানচাল করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের পাশাপাশি আমরাও প্রস্তুত রয়েছি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারাদেশে নির্বাচনী সহিংসতায় এ পর্যন্ত যে কয়জন আহত বা নিহত হয়েছে তারা সকলেই কিন্তু আমাদের দলীয় লোক। প্রতিপক্ষের কেউ নিহত হয়েছে এমন কোন সংবাদ নেই। এসকল ঘটনার জন্য কাউকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মরণকামড় দিতে চাইবে। তারা সহিংসতা ও নাশকতার চেষ্টা করবে। তবে তাদের সহিংসতা ও নাশকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। যাতে কোন অশুভ শক্তি নির্বাচন বানচাল করতে না পারে। জনগণের রায় মেনে নিবেন কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় জনগণ যে রায় দিবে আমি সেই রায় মাথা পেতে নেব। এদিকে ফেনী থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, রবিবার রাতে ফেনীর পৌর মেয়র স্বপন মিয়াজীর অফিসে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারাদেশে একটা ভাল নির্বাচন হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের অবিশাস্য উপস্থিতি ছিল । নারী ও তরুণদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। এ নির্বাচনে নৌকার গণজোয়ারের প্রতিফলন ঘটেছে। মন্ত্রী বলেন- নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের লোক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট আগেই জানতো তাদের জয় লাভের সম্ভবনা নেই। তাদের ফোনআলাপে হতাশার সুর দেখা যায়। রাজনীতিতে জোয়ার ভাটা ভাঙ্গা-গড়া আছে। পতনের পর উত্থান হয়। ৭০ এর দশকে ভারতের ইন্দিরা গান্ধির পরাজয়ের পর আবার উত্থান হয়েছে। বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট ভোট বর্জন করে নেই। ভোট বর্জন করেছে ৫১ জন প্রার্থী। এটা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এটি কেন্দ্রীয় কোন সিদ্ধান্ত নয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাস স্বপন মিয়াজী।
×