ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যাকর্ড অফিস বন্ধ হলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে পোশাক পরিদর্শন

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

এ্যাকর্ড অফিস বন্ধ হলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে পোশাক পরিদর্শন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এ্যাকর্ডের ঢাকা অফিস বন্ধ হলে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর জন্য পোশাক তৈরি করেছে এ রকম প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি বিদেশী পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-বাংলাদেশের হাইকোর্টের নির্দেশেই ৩০ নবেম্বরের পর এ্যাকর্ড বাংলাদেশের আর কোন পোশাক কারখানা পরিদর্শন করতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানটি এ কারণে তাদের ঢাকা অফিসের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড এইচ এ্যান্ড এম, এসপ্রিট এবং প্রাইমার্কের মতো প্রতিষ্ঠানের জন্য পোশাক সরবরাহের চেনগুলো পরিদর্শন করার আন্তর্জাতিক ক্ষমতা সীমিত হয়ে যাবে। এর ফলে পোশাক খাতের কর্মপরিবেশ ও অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হতে পারে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে অগ্নি এবং ভবন নিরাপত্তায় এ্যাকর্ড ১৫ মে ২০১৩ তারিখে স্বাক্ষরিত হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড এবং রিটেলার ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর মধ্যে এটি একটি পাঁচ বছরের স্বতন্ত্র, আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তি। নিরাপদ এবং সুস্থ বাংলাদেশী তৈরি পোশাক শিল্প (আরএমজি) গড়ে তোলার জন্য মূলত এ্যাকর্ড চুক্তি করা হয়। রানা প্লাজা ধসে পড়ার ঠিক পরে এই চুক্তি করা হয়। যে ঘটনায় ১১০০ মানুষ প্রাণ হারান এবং ২০০০-এর বেশি আহত হন। ২০১৩-র জুন মাসে একটি কার্যকর পরিকল্পনার বিষয়ে সম্মতি পাওয়া যায়। এর ফলে অক্টোবর ২০১৩ সালে নেদারল্যান্ডসে এ্যাকর্ড অন ফায়ার এ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ নামে এ্যাকর্ড ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। মেয়াদ পূর্তির পরও সংস্থাটি বাংলাদেশে কাজ করতে চাইলে পোশাক খাতের মালিকরা এর বিরোধিতা করেন। এ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও একাধিকবার বলেছেন, গার্মেন্টস খাত পরিদর্শনে বাংলাদেশে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তারাই যথেষ্ট। এখন আর এ্যাকর্ডের প্রয়োজন নেই। পরবর্তীতে এ্যাকর্ড এদেশে থাকবে কি থাকবে না তার মীমাংসা হাইকোর্টে। কোর্টের রায় মেনে আগামীকাল ৩০ নবেম্বরের পর এ্যাকর্ডের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ্যাকর্ডের নির্বাহী পরিচালক রব ওয়েস বলেন, আমরা আশাবাদী। এ্যাকর্ডকে আরও কয়েক বছর রাখার জন্য সরকার কোর্টকে অনুরোধ করবে। আমরা আশাবাদী, তবে নিশ্চিত নই যে সরকার আদালতে এ ব্যাপারে আবেদন দেবে।
×