ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত করলে সহ্য করা হবে না ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ৯ নভেম্বর ২০১৮

নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত করলে সহ্য করা হবে না ॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নেতাদের প্রতি নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, গণতন্ত্রের প্রতি যদি বিশ^াস থাকে, জনগণের ওপরও আস্থা রাখতে হবে। ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণকে রায় দেয়ার সুযোগ দিন। মানুষ যে রায় দেবে আমরা তা মাথা পেতে নেব। কিন্তু নির্বাচন কেন্দ্র করে চক্রান্ত করলে কোন ভাবেই সরকার তা সহ্য করবে না। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নির্বাচনের ঘণ্টা বেজে গেছে। গ্রামগঞ্জে ভোটের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। জনগণ ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন আর অন্য কোন বিকল্প ভাবার সময় নেই। ভোটের লড়াইয়ে না এসে বিকল্প পথ খোঁজার চিন্তা পরিত্যাগ করতে তিনি এ সময় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দকে পরামর্শ দেন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে নব নিয়োগপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ নার্সদের চাকরিতে আনুষ্ঠানিক যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদারের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগে পদায়নকৃত নার্সরা যোগ দেন। পাশাপাশি দেশের অন্য সাত বিভাগেও পদায়নকৃত নার্সরা একই সময় চাকরিতে যোগ দেন। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে এ বছর ৫ হাজার ৯২ সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগপ্রাপ্ত হন, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যক নার্স নিয়োগের ঘটনা। এর আগে বর্তমান সরকারের সময়েই ’১৬ সালে প্রায় ১০ হাজার নার্স সরকারী হাসপাতালে নিয়োগ পায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন করতেই হবে। এই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থেকে যারা বের হতে চান তারা দেশে বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি চায়। ’১৪ সালের নির্বাচন বর্জনের নামে নির্বিচারে জ্বালাও-পোড়াও দেখেছে বলে তাদের আজকের অবস্থানের ওপর সাধারণ মানুষের সমর্থন নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে সংলাপ করে দেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক উদারতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি ছোট বড় সব দলের সঙ্গে কথা বলেছেন। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সংলাপ হয়েছে। বাইরে উত্তপ্ত বক্তৃতা দিয়ে মাঠ গরম করে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ না বাড়িয়ে নির্বাচনে আসার জন্য তিনি বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নার্সদের চাকরি দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। তাঁরই নির্দেশনায় গত তিন বছরে দুই দফায় প্রায় ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়ে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত হাসপাতালগুলোর নার্স সঙ্কট দূর করেছে সরকার। বর্তমান সরকারই দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম সংখ্যক ৬ সহস্রাধিক চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে। আরও ৬ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। স্বাস্থ্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দিয়ে জনগণের স্বাস্থ্য মানোন্নয়নে সাফল্য অর্জন করে সরকার বিশ^ব্যাপী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নবনিয়োগপ্রাপ্ত নার্সদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তরিকতা দিয়ে রোগীর সেবা দিন। রোগী তার পাশে এক হৃদয়বান চিকিৎসক ও মমতাময়ী নার্স পেলে মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকে। তাই আপনারা রোগীদের কাছে স্বজন মনে করে সর্বোত্তম সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে পিএসসির মাধ্যমে নার্স নিয়োগ পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান অর্জনকারী প্রথম দশ সিনিয়র স্টাফ নার্সের হাতে চাকরিতে যোগদানের আনুষ্ঠানিক পত্র হাতে তুলে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
×