ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্গাপূজা ঘিরে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৩ অক্টোবর ২০১৮

দুর্গাপূজা ঘিরে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে রাজধানীতে কঠোর, নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য মাধ্যমে ছড়ানো কোন গুজবে কান না দিয়ে নিশ্চিন্তে পূজার উৎসব করুন। পুলিশ নিরাপত্তা দিবে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তা সংক্রান্তে সমন্বয় সভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া। ডিএমপি কমিশনার জানান, এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা ঢাকা মহানগরীর ২৩০টি পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে। পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে মণ্ডপগুলোতে সুইপিং করবে র‌্যাব, পুলিশের ডগ স্কোয়াড। এসব বাহিনীকে সাধারণত বোমা এবং মাদক শনাক্তে কাজে লাগানো হয়। এছাড়াও এবার নিরাপত্তার স্বার্থে মন্দিরের পাশে কোন হকার কিংবা মেলা বসতে দেয়া হচ্ছে না। শারদীয় দুর্গাপূজার কার্যক্রম ৮ অক্টোবর শুভ মহালয় দিয়ে শুরু হচ্ছে। বিজয়া দশমী দিয়ে শেষ হবে ১৯ অক্টোবর। সভায় দুর্গাপূজায় ডিএমপি গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে ধরা হয়। পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় মণ্ডপগুলো পুলিশ ও র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। প্রত্যেক পূজামণ্ডপে ইন ও আউটের জন্য আলাদা গেটের ব্যবস্থা, মণ্ডপের ভেতরে ও বাইরে জেনারেটরসহ পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা, সিসিটিভি-আর্চওয়ে স্থাপন, পুরুষের পাশাপাশি নারী স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা। স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) মোতায়েন ও প্রতিমা বিসর্জনের দিনে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা। যাতে কোন ব্যঘাত না ঘটে। দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার জানান, পূজামণ্ডপের গুরুত্ব অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। আপনারা সোশ্যাল মিডিয়াসহ যেকোন গুজবের বিরুদ্ধে সচেতন থাকুন। কেউ মিথ্যা ও অসত্য তথ্য ছড়িয়ে দেশের নিরাপত্তা বিঘœ করার অপচেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এছাড়াও পূজামণ্ডপ কেন্দ্রিক কোন হকার ও ভ্রাম্যমাণ দোকান বসাতে দেয়া হবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ করে কোন ধরনের মেলা বসতে দেয়া হবে না। ছিনতাই ও ইভটিজিং প্রতিরোধে মোতায়েন থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম। সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য। পূজামণ্ডপে প্রবেশের পূর্বে অবশ্যই মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করে প্রবেশ করানো হবে। কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত কার কী দায়িত্ব তার নির্দেশনা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অফিসারদের দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দিরে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। এখান থেকে রাজধানীর সব পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা তদারকি করা হবে। সমন্বয় সভায় পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারী সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুত বিভাগ, সিটি কর্পোরেশন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটি এবং ঢাকা মহানগর দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
×