ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টিকারী শরণার্থী সঙ্কট

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের রহস্যময় নিষ্ক্রিয়তা

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের রহস্যময় নিষ্ক্রিয়তা

মোয়াজ্জেমুল হক ॥ নিজেদের কোন সমস্যা নয়। ছোট্ট ভূখণ্ডের বাংলাদেশের ওপর আচমকা বহিরাগতদের নিয়ে বড় ধরনের যে এক মুসিবত ভর করেছে সেটির নাম রোহিঙ্গা ইস্যু। একবছরের বেশি সময় ধরে সারাবিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করলেও দেশে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট শুরু থেকেই এ নিয়ে সম্পূর্ণ নিস্ক্রীয় অবস্থান গ্রহণ করে আছে। বিষয়টি একদিকে যেমন বিস্ময়কর, তেমনি অমানবিক মনোভাবের বহির্প্রকাশ বলেও বিশেষজ্ঞ মহলে আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে। শুরু থেকে সরকার এ ইস্যুটি মোকাবেলা করে যাচ্ছে অতি সহনীয়তা, ধৈর্যশীলতা ও মানবিকতা নিয়ে। গতবছরের ২৫ আগস্ট মধ্যরাতের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বর্বর সেনা অভিযান শুরু হলে প্রাণ রক্ষার্থে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা দলে দলে সীমান্ত গলিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় সে রাজ্যে যেমনি চলেছে গণহত্যা, তেমনি চলেছে গণধর্ষণ। সঙ্গে বাড়িঘর জ্বালাও পোড়াও। অনেকের শেষ ঠিকানা হয়েছে গণকবরে। যে গণকবরের সন্ধান ইতোমধ্যে মিলেছে। এমন একটি ঘটনা সৃষ্টি হওয়ার পর মানবিক কারণে সরকারী নির্দেশে সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। দুঃসহ পরিবেশ থেকে চলে আসা রোহিঙ্গাদের বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা সাদরে গ্রহণ করে নেয় এবং তাদের খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আশ্রয় শিবিরে স্থান করে দেয়া হয়। সে এক নিদারুণ দুঃসহ পরিবেশ। কেউ এসেছেন পুরো পরিবার নিয়ে। আবার কেউ এসেছেন বিচ্ছিন্নভাবে। কেউ এসেছেন খালি হাতে এক কাপড়ে। আবার কেউ এসেছেন প্রয়োজনীয় জিনিস বস্তাবন্দী করে মাথায় নিয়ে বা ফেরিওয়ালার মতো কাঁধে ভর করা ঝুড়ি নিয়ে। এ প্রক্রিয়ায় গত এক বছরে সে রাজ্য থেকে এ দেশে এসেছে ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্য। সরকার পক্ষে শুরুতেই মানবিক দৃষ্টিকোন নেয়ায় স্থানীয় অধিবাসীরাও এসব বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় ঝাপিয়ে পড়েন। পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও সংস্থা এবং বিত্তবানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষও এদের সাহায্যে অতি দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যায়।
×