ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

জিডিপি বেড়ে ৭.৮৬

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জিডিপি বেড়ে ৭.৮৬

ওয়াজেদ হীরা ॥ দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সময় এখন বাংলাদেশেরই। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক সাফল্য আসছে। নিজেদের গড়া রেকর্ড নিজেরাই ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়ছে। টানা তিন অর্থবছর ধরে সাত শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং ধরে রেখে দুর্বার গতিতে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। চূড়ান্ত হিসাবে গত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) জিডিপির হার হয়েছে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে প্রাথমিক হিসাবে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ হয়েছিল। অর্থাৎ প্রাক্কলিত প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি। এর আগের অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.২৮ শতাংশ। নিজেদের রেকর্ড ভেঙ্গে নিজেরাই গড়ল নতুন রেকর্ড। সেই সঙ্গে দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে এবং বেড়েছে মাথাপিছু আয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জিডিপি, প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়ের এই হিসাব করেছে যা চূড়ান্ত হিসাবে এ চিত্র উঠে এসেছে। জিডিপির এই চূড়ান্ত হিসাবটি মঙ্গলবার সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উপস্থাপন করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের এ অভূতপূর্ব অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে একনেক সভার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়াও একনেকের সভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্পসহ মোট ১৪টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। অনুমোদিত প্রকল্পের জন্য মোট ব্যায় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫৪৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারী অর্থায়নে ৮ হাজার ৮৪২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ২৫৭ কোটি ১ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক খাতে সাহায্য হিসেবে ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এদিকে, বিবিএসের দেয়া তথ্যমতে, বিদায়ী অর্থবছরে সরকার বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল ৭.৪ শতাংশ। সাময়িক প্রাক্কলনে তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি, অর্থাৎ ৭.৬৫ শতাংশ অর্জিত হয়। এখন চূড়ান্ত তথ্য বলছে, ৭.৮৬ শতাংশ। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ০.৪৬ শতাংশ বেশি। রেকর্ড প্রবৃদ্ধি নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আজকের দিনটি বিশেষ দিন, ঐতিহাসিক দিন। এখন আমাদের রেকর্ড আমরাই ভাঙব। আমরা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জিডিপিতে যে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি এটা ঐতিহাসিক। আমরা বিশ^াস করি আমাদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়লেও আমাদের প্রাথমিক হিসাবের চেয়ে মাথাপিছু আয় ১ ডলার কমেছে। মাথাপিছু আয় ডলারের দিক দিয়ে কমলেও টাকার অংকে অনেক বেড়েছে। টাকার অংকে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮৯ টাকা হয়েছে। এখন মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৭৫১ ডলার। যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ৬১০ ডলার। এ হিসাবে এক বছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৪১ ডলার। পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে জিডিপির আকার হলো ২৭৪ বিলিয়ন ডলার। বিনিয়োগ জিডিপি হলো ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশ। যার মধ্যে বেসরকারী খাতের হার ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং সরকারী হার ৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। মন্ত্রী জানান, অর্থনীতির গতি বাড়াতে হলে বিনিয়োগ ও ইনপুট দরকার। আমরা সেটা সব সময় পাই না। যদি বেসরকারী খাত স্থবির হয়ে যায়, তাহলে প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। বেসরকারী খাত এখানে বিভিন্ন কারণে বিনিয়োগ করতে চায় না। পরিবেশ না থাকলে তারা বিনিয়োগ করতে চায় না। আমরা সেটা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাদের সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। কৃষি, শিল্প এবং সেবা এই তিন খাত ধরে জিডিপি গণনা করা হয়। এবার ২০১৭-১৮ অর্থবছরে শিল্প ও কৃষি খাতের ওপর ভর করে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। যদিও সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমেছে। সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.৩৯ শতাংশ যা তার আগের অর্থবছরে ছিল ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। তবে কৃষিও শিল্পকে বেড়েছে প্রবৃদ্ধি। কৃষিতে প্রবৃব্ধি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ যা পূর্বে অর্থবছরে ছিল ২ দশমিক ৯৭। এছাড়াও শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ০৬ শতাংশ, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। জিডিপিতে বিভিন্ন খাতের অবদান নিয়ে মন্ত্রী বলেন, কৃষি ও শিল্প খাতে অভাবনীয় সাফল্য রয়েছে। বিদ্যুতের সফলতা রয়েছে। এ বছর কোন বিপর্যয় আসেনি। তাই সাফল্য এসেছে। তিনি বলেন, কৃষি খাতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কৃষিতে অবদান ১৩.৮২ শতাংশ, শিল্প খাতে ৩০.১৭ এবং সেবা খাতে ৫৬.০০ শতাংশ। জিডিপির বিপরীতে গত অর্থবছরে জাতীয় সঞ্চয়ের শতকরা অনুপাত ২৭.৪২শতাংশ। যা পূর্বের অর্থবছরে ছিল ২৯.৬৪ শতাংশ। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, জিডিপি গণনাসহ পুরো প্রক্রিয়াটি বিশ্লেষণ করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেয়া হচ্ছে। পুরো বিষয়টি হালনাগাদ করতে পারলে আধুনিক উপায়ে জিডিপি গণনা করা যাবে। এদিকে, দেশে দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৮ শতাংশে। যা ২০১৭ সালে ছিল ২৩ দশমিক ১ শতাংশ। এছাড়া ২০১৬ সালের হিসাবে ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হাউজ হোল্ড ইনকাম এ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে ২০১০ এবং ২০১৬-এর দারিদ্র্য ও হতদারিদ্র্যের হ্রাসের হার বিবেচনা করে এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধি ও হারের ওপর ভিত্তি করে ২০১৭-১৮ সালের দারিদ্র্য ও অতিদারিদ্র্যের হার প্রাক্কলন করা হয়েছে। বিফ্রিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের জন্য উন্নয়ন করেছি। এ কারণেই মাথাপিছু আয় বেড়েছে। দারিদ্র্য নিরসনে আমরা সাফল্য অর্জন করেছি। বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী অতি দারিদ্রের হারও কমে গেছে। ২০১৮ সালের অতি দারিদ্রের হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। যা ২০১৭ সালে ছিল ১২ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল। এদিকে, একনেকের সভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্পসহ মোট ১৪টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। সভাশেষে ব্রিফিংয়ে প্রকল্পের বিস্তারিত জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। এ সময় অর্থ পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, ত্রুটিমুক্ত, বিশ্বাসযোগ্য ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর করতে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী প্রেস বিফিংয়ে বলেন, ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে গেছে গ্রামে-গঞ্জেও। আমাদের অটোমেশনের বাইরে বিকল্প নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে ধীরে ধীরে এটিকে ব্যবহার করার জন্য এবং পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়ার সেই সঙ্গে এর অপব্যবহার যেন না হয় তা খেয়াল রাখার। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়ে বলেন, এটা ধীরে ধীরে ব্যবহার করতে হবে। আগে প্রশিক্ষণ নেন, শেখেন, শেখান; তারপরে ব্যবস্থায় যান।’ ইভিএম ব্যবহারের আগে জনগণকে সচেতন করার উপর জোর দেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শহরের মানুষ আর গ্রামের মানুষ এক রকম না। গ্রামের মানুষ তো কেউ কেউ মনে করে যে মেশিনে যদি টিপ দেই, জায়গা জমি নিয়ে যাবে। এ ধরনের হাঙ্গামায় যাওয়ার এখন সময় নেই।’ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আরবান এলাকার মানুষজন শিক্ষিত, তারা জানবেন এ পদ্ধতি কীভাবে ব্যবহার করতে হয়’। তিনি বলেছেন, লিমিটেড স্পেসে ‘আরবান’ এলাকায় প্রথমে ব্যবহার করুন। এরপর গ্রাজুয়ালি সারাদেশে আস্তে আস্তে এর বিস্তার করবে।’ পরিকল্পনামন্ত্রী এই প্রকল্প নিয়ে আরও বলেন, ইভিএম কেনার প্রকল্পে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ চলতি সময় থেকে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ৩ হাজার ১১০ জন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নির্বাচন প্রক্রিয়া বিষয়ে সামগ্রিক দক্ষতা বৃদ্ধি, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণবিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দেড় লাখ ইভিএম কেনা হবে। তবে এটি পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পের অর্থ দিয়ে তিন ধাপে এসব মেশিন ক্রয় করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ইভিএম প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি করেছি আমরা। এটা তিন ধাপে বাস্তবায়ন হবে। মন্ত্রী বলেন, ইভিএম মেশিন ইতোপূর্বে বেশকিছু নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের একটি কেন্দ্রের ছয়টি কক্ষে ইভিএমের ব্যবহার মাধ্যমে সফলতার সঙ্গে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিটি কক্ষে ভোট গণনার সময় লাগে মাত্র এক মিনিট। দেশী-বিদেশী এবং নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মিডিয়া এবং সর্বসাধারণের মত অনুযায়ী ইভিএম পরিচালিত কেন্দ্রের ভোট নিরপেক্ষ, সহজ এবং সময়বান্ধব হয়েছে। জানা গেছে, নির্বাচন আইনের সংস্কার, রাজনৈতিক দলের মতামতসহ সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় তারা। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, পর্যায়ক্রমে ব্যবহার হবে এসব ইভিএম। আগামী নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধন করা দরকার বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে কী পরিমাণ ইভিএম ব্যবহার হবে সেটি নির্বাচন কমিশনের বিষয়। তবে আমার মনে হয় আরপিও সংশোধন আনা দরকার। স্থানীয় নির্বাচনে এখন ব্যবহার হচ্ছে; জাতীয় নির্বাচনের জন্য আরপিও সংস্কার করতে হবে; এরপর কমিশনই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। এছাড়াও অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে, বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল, মীরসরাই প্রথম পর্যায় প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭৫০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৫৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি জাতীয় মহাসড়ক (এন-১০৬) এর হাটহাজারী হতে রাউজান পর্যন্ত সড়কাংশ ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৫২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১২৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৪৬১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ভারতের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চিলাহাটি এবং চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৮০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। গোপালগঞ্জ জেলায় বিএআরআইয়ের কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৫৭ কোটি টাকা। বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১১১ কোটি ৯১ লাখ টাকা। গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৮২ কোটি ৬৫। জাতীয় উন্নয় প্রশাসন একাডেমি প্রতিষ্ঠা প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৫৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের নাম ছিল বিসিএস ইকোনমিক একাডেমি প্রতিষ্ঠা। তবে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রশাসন এবং ইকোনমিক ক্যাডারদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব রয়েছে তা দূর করতে দুটিকে এক করে দিয়েছেন। বেতন, মর্যাদা বা পদোন্নতিতে দুই বিভাগ এখন এক হয়ে গেছে। এছাড়াও বাংলাদেশ বেতার, শাহবাগ কমপ্লেক্স, আগারগাঁও, ঢাকায় স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। খুলনা শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৮২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। নির্বাচন ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষ্যে ইলেকট্র্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রোগ্রাম ফর সার্পোটিং রুরাল ব্রিজেস প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা।
×