ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

টেকনাফে পণ্যবোঝাই ট্রলারডুবি

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ১৩ আগস্ট ২০১৮

টেকনাফে পণ্যবোঝাই ট্রলারডুবি

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ মিয়ানমার থেকে অর্ধ কোটি টাকার আমদানি পণ্য আদা বোঝাই করে টেকনাফ স্থল বন্দরে এসে ডুবে গেছে একটি ট্রলার। ওই ট্রলারে আদা ছাড়াও হলুদ ও আচার ছিল বলে জানা গেছে। শনিবার সন্ধ্যার পর টেকনাফ স্থল বন্দরের বহির্নোঙ্গরে এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ স্থল বন্দরে পল্টুন সমস্যা দীর্ঘদিনের। অভিযোগ রয়েছে,বন্দর ইজারাদার প্রত্যেহ লাখ লাখ টাকা টুল আদায় করলেও ব্যবসায়ীদের পণ্য খালাসে তেমন কোন সুযোগ পাচ্ছেনা বলে জানা গেছে। এছাড়াও পণ্য উঠানামা কাজের জন্য নিয়োজিত শ্রমিকদের অধিকাংশ রোহিঙ্গা। কম টাকায় মজুরি খাটানো যায় বলে রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। পণ্য বোজাই জাহাজ পল্টুনে ভিড়লে তা খালাসের দায়িত্ব পড়ে বন্দর ইজারাদারের। কিন্তু ৪-৫ দিন এমনকি এক সপ্তাহ অপেক্ষায় থাকলেও পণ্য খালাসে বন্দর ম্যানেজারের অনুমতি পাওয়া যায়না বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, বন্দরে যখনই বোট নোঙর করে, তখনই মাল খালাসের ব্যবস্থা করলে এ ক্ষতির মুখে পড়তে হতো না তাদের। একটি বোটের মাল খালাস করতে বারবার যেতে হয় বন্দর ম্যানেজারের কাছে। টেকনাফ স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে সীমান্ত বাণিজ্যের আওতায় মংডু থেকে এক হাজার ৮২৯ বস্তা (৩৩ মে.টন) মসলাবাহী ট্রলারটি স্থলবন্দরের জেটিতে এসে নোঙর করে। স্থলবন্দরের জেটিতে ট্রলারটি নোঙর করার পর আইজিএম (আমদানি ডকুমেন্ট) জমা এবং পণ্য খালাসের জন্য শনিবার কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে বিল অব এন্ট্রিও জমা দেয়া হয়েছে। পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষমাণ থাকা অবস্থায় এ ঘটনাটি ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের খাম-খেয়ালিপনা ও শ্রমিক সঙ্কটের কারণে এ ক্ষতির কবলে পড়তে হয়েছে তাদের। আমদানিকারক মো: সেলিম জানান, পবিত্র কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে সীমান্ত বাণিজ্যের আওতায় মিয়ানমার থেকে জরুরী পণ্য আমদানি করছিল আমদানিকারকরা। শনিবার আদা, হলুদ ও আচার বোঝাই একটি ট্রলার টেকনাফ স্থল বন্দরের বহির্নোঙ্গরে ভিড়ে বন্দরে পল্টুন সমস্যায় পণ্য বোঝাই ট্রলারটি জেটির কাছাকাছি অবস্থান করাকালে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ট্রলারটিতে ব্যবসায়ী মাহবুবুল করিমের ১ হাজার ১০ বস্তা আদা, যদু বাবুর ৪৫০ বস্তা আদা, এহতেশামুল হক বাহাদুরের ১৮০ বস্তা হলুদ এবং ৮০ বস্তা আচার ছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রেন দিয়ে ডুবে যাওয়া পণ্য বোঝাই ট্রলারটি উদ্ধার করার আগেই নাফ নদীতে স্রোতের টানে শত শত বস্তা পণ্য ভেসে গেছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টেকনাফ স্থল বন্দরের জিএম বলেন, ট্রলারটি খুবই পুরানো এবং ট্রলারে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই ছিল। ওই ট্রলারের নিচ দিয়ে পানি উঠেছে, তা কেউ খেয়াল করেনি। খবর পাওয়ার পর শ্রমিক দিয়ে তাৎক্ষণিক পণ্যগুলো খালাস করা হয়েছে। ক্রেন দিয়ে ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে।
×