ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, পিন্টুর পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ শেষ

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ৭ আগস্ট ২০১৮

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, পিন্টুর পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ শেষ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আসামি আবদুস সালাম পিন্টুর পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ শেষ হয়েছে। এরপর আসামি লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ শুরু করেন তার আইনজীবী নজরুল ইসলাম। এ আসামির যুক্তিতর্ক পেশ শেষ হলে আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ সমাপ্ত হবে। আজ মঙ্গলবার ও কাল বুধবার মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখ। রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে একুশে আগস্টের ঘটনায় আনা পৃথক মামলায় একই সঙ্গে বিচার চলছে। মামলায় এ পর্যন্ত ৪৪ আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ শেষ হয়েছে। সোমবার ছিল এ মামলার যুক্তিতর্ক পেশ করার ১০৬তম দিন। মামলার অন্যতম আসামি সাবেক উপমন্ত্রী বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুর পক্ষে আইনী পয়েন্টে যুক্তিতর্ক পেশ করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। এর আগে তার পক্ষে আরও সাত কার্যদিবসে তিনি নিজে সহ এ্যাডভোকেট এস.এম শাহজাহান, রফিকুল ইসলাম যুক্তিতর্ক পেশ করেন। পিন্টুর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি দাবি করে তাকে খালাসের আর্জি জানিয়ে যুক্তিতর্ক পেশ শেষ করেন তার আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে চীফ প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ভয়াবহ একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা দুই মামলার বিচার এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আসামিপক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে সময় ক্ষেপণ না করলে আরও আগেই এ মামলার বিচার ও নিষ্পত্তি হতো। আসামিপক্ষ এ মামলায় আইনে প্রদত্ত সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছেন। ভয়াবহ ওই গ্রেনেড হামলার শিকার বিচারপ্রার্থীগণ ন্যায়বিচারের আশায় রয়েছেন। তিনি বলেন আসামি সালাম পিন্টুসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য দিয়ে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আসামিপক্ষের যুক্তির্ক শেষ হলে রাষ্ট্রপক্ষ আইনী পয়েন্টে বক্তব্য পেশ করবে। আইন অনুযায়ী আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫২ জন। এর মধ্যে ৩ জন আসামির অন্য মামলায় মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়ায় তাদের মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ৩ আসামি হলেন- জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গী নেতা মুফতি হান্নান ও শরীফ সাহেদুল আলম বিপুল। এখন ৪৯ আসামির বিচার চলছে। এর মধ্যে এখনও তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরীসহ ১৮ জন পলাতক। বাবর, সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন আসামি কারাগারে ও ৮ জন জামিনে রয়েছেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২২৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেয়। আসামিপক্ষে সাক্ষীদের জেরা করেছে। গত বছরের ৩০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দের জেরা শেষের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
×