ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

২৫ বছর বন্ধ মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জেনারেটর

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ২ আগস্ট ২০১৮

২৫ বছর বন্ধ মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জেনারেটর

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১ আগস্ট ॥ মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জেনারেটরটি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে বিদ্যুতের লোডশেডিংএর সময় রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাসপাতালে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ ও সেবা নিতে আসা রোগীদের দুর্ভোগ কমাতে ১৯৯৩ সালে স্থাপন করা হয় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি জেনারেটর। দীর্ঘদিন জেনারেটরটি ব্যবহার না করায় মরচে ধরে অকেজো হয়ে গেছে। এ সম্পদটি কর্তৃপক্ষের চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে গেলেও কারও কোন জবাবদিহিতা নেই। যেন সরকারী মাল দরিয়ামে ঢাল। জানা গেছে, একশ’ শয্যার মাদারীপুর সদর হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ৩ শতাধিক রোগী স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকেন। হাসপাতালের চাহিদা অনুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ১৯৯৩ সালে ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ দশমিক ২০ কেভিএ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি জেনারেটর দেয় গণপূর্ত বিভাগ। শুরুতে কয়েক দিন জেনারেটরটি চালু থাকলেও কোন কারণ ছাড়াই এটি বন্ধ করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে হাসপাতালের বাইরের একটি কক্ষে অযতœ-অবহেলায় এটি পড়ে রয়েছে। বুধবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, হঠাৎ ১নং ফিডার অর্থাৎ সদর হাসপাতাল এলাকায় লোডশেডিং। এ সময় হাসপাতালের ফ্যান, লাইটসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম বন্ধ। গরমের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে রোগীর পাশে বসে থাকা স্বজনরা হাতপাখা দিয়ে রোগীকে বাতাস করছেন। বেশির ভাগ রোগীর বিছানার পাশেই রয়েছে চার্জার লাইট। এই চার্জার লাইট রাতে বিদ্যুত চলে গেলে ব্যবহার করেন রোগীর স্বজনরা। শিশু ওয়ার্ডে বিদ্যুত চলে গেলে আইপিএস-এর সাহায্যে বিদ্যুত সচলের ব্যবস্থা থাকলেও তা ব্যবহার হচ্ছে সেবিকাদের কক্ষে। হাসপাতালের নিচে নেমে বাইরে একটি বদ্ধঘরে দেখা মিলল বড় একটি জেনারেটর। জেনারেটর রাখা ঘরটি বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ভেতরে মাকড়সায় জাল বুনেছে সবখানে। জেনারেটরটিতে মরচে ধরে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেছে। শিশু ওয়ার্ডে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেবিকা বলেন, ‘হাসপাতালে বিদ্যুত না থাকলে গরমে শিশু রোগীরা ঘেমে যায়। ফলে শিশুদের ঠা-াও লেগে যায়। এতে নিউমোনিয়া হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে।
×