ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

গোলটেবিলে বাণিজ্যমন্ত্রী

সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নেই

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১০ মে ২০১৮

সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নেই

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে আলাপ-আলোচনার কোন সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিএনপি সহায়ক সরকারের রূপরেখা তো দিতেই পারে। কিন্তু তা নিয়ে কার সঙ্গে আলোচনা হবে জানি না। তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার কোন সম্ভাবনা নেই। বুধবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে হাসুমণির পাঠশালা আয়োজিত ‘তারুণ্য সম্পদ, তারুণ্যই ভবিষ্যত : প্রয়োজন আদর্শিক নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সংবিধানে বিশ্বাস করে। বর্তমান সংবিধানের আলোকেই আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনকালীন সরকারে থাকবে বর্তমান সরকার। সেই নির্বাচনকালীন সরকার দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছিল সার্চ কমিটির মাধ্যমে। সাংবিধানিক পদে যারা অধিষ্ঠ তাদের দিয়েই সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এমনকি বিএনপির কাছেও নাম চাওয়া হয়েছিল, আমাদের কাছে নাম চাওয়া হয়েছিল। বিএনপির দেয়া তালিকা থেকেও নির্বাচন কমিশনার বর্তমান কমিশনে রয়েছেন। কাজেই ভবিষতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের সম্ভাবনা নেই। তেমনি সহায়ক সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলে কোন সরকার বাংলাদেশে আর আসবে বলে আমি মনে করি না। কারণ এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্বাচনকালীন সময়ে সমস্ত ক্ষমতা থাকবে ইসির হাতে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থগিতে জাতীয় নির্বাচন স্থগিতের ইঙ্গিতÑ বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপির ইঙ্গিতের কোন অভাব নেই। ওরা ভাল কিছু দেখে না। রোহিঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে সমাদৃত এটাও বিএনপি ভাল চোখে দেখে না। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাজীপুর নির্বাচন নিয়ে করা মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘উনি বলেছেন গাজীপুরে নাকি নির্বাচন হবে না। কেন নির্বাচন হবে না? আমরা কুমিল্লায় হেরেছি, রংপুরে হেরেছি। তারপরেও কি খুলনায় নির্বাচন হচ্ছে না? গাজীপুরের নির্বাচন কি এগিয়ে যাচ্ছিল না? তিনি বলেন, আমরা তো জানতাম না। আদালতের নির্দেশনায় নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। দু’দিন আগেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তিনি আমাকে বলেছেন যে কোন মুহূর্তে গাজীপুরে নির্বাচন হতে পারে। তোমরা কার্যক্রম অব্যাহত রাখো। নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। তার জন্য আমাদের কর্মকা- অব্যাহত রাখতে হবে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান এমপি বলেন, আগামী নির্বাচন কিভাবে হবে সেটা সংবিধানে লিপিবদ্ধ আছে। সুতরাং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অজুহাতে বা সহায়ক সরকারের বাহানায় কোন ধরনের নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা হবে না। বর্তমান সরকারের আলোচনায় বসার কোন ইচ্ছা বা অভিব্যক্তি নেই। তাছাড়া এ রকম কোন পরিস্থিতি নেই, পরিবেশও নেই যে নতুন করে কারো সঙ্গে আলাপ আলোচনার টেবিলে বসতে হবে। এ ধরনের কোন সম্ভাবনা নেই। হাসুমণির পাঠশালার সভাপতি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মারুফা আক্তার পপির সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহীম, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেছুর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন প্রমুখ।
×