ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

এবার বিমানের ওপর চটেছেন মন্ত্রী শাহজাহান কামালও

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৯ এপ্রিল ২০১৮

এবার বিমানের ওপর চটেছেন মন্ত্রী শাহজাহান কামালও

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার বিমানের ওপর চটেছেন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামালও। তাকে না জানিয়ে বিমানের এমডিকে পুনঃনিয়োগ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, বিমানের ম্যানেজিং ডাইরেক্টরকে পুনঃনিয়োগ করা হয়েছে, আমি কি জানি? আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে? মন্ত্রী বলেন, আমি বিমানমন্ত্রী। আমি বাংলাদেশ বিমানের মন্ত্রী না। আমি হচ্ছি বেসরকারী যারা, রিজেন্ট আছে, ইউএস-বাংলা আছে, নভো, ইন্ডিগো, আমি তাদের মন্ত্রী। বুধবার দুপুরে মহাখালীতে ফ্লাইট সেফটি বিষয়ে এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এয়ারলাইন্সের কার্যক্রম নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। কদিন আগে আমার সঙ্গে কাতার এয়ারলাইন্সের লোকজন দেখা করেছিল। তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, তাদের পপুলেশন কত? তারা জানালো ২৭ লাখ। কিন্তু তাদের এয়ারক্রাফটের সংখ্যা কত? প্রায় ১৪৬টি, তারা জানালো। ছোট্ট একটা দেশ, তারা এত উন্নত হতে পেরেছে। আর আমরা, বাংলাদেশ বিমান এত পেছনে পড়ে কেন? আমরা কেন এগুতে পারছি না? তিনি বলেন, ‘আমরা তো মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা বীরের জাতি’। আমি সরকারের লোক, সরকারী দলের প্রতিনিধি। আমি দেখেছি, এভিয়েশন খাতে আমাদের প্রাইভেট সেক্টরে যারা, তারা ভাল করছেন। ইউএস-বাংলার এ্যাকসিডেন্টের বিষয়ে এখন তো বলতে পারব না, কার দোষ। ইনকোয়ারির পর আমাদের কাছে রিপোর্ট আসবে। প্রধানমন্ত্রী (নেপালের) বলেছেন, ‘আমি এই মুহূর্তে বলতে পারি না। ইনকোয়ারির পর যেটা আসে, সেটাই করব।’ এ্যাকসিডেন্ট তো হবেই। ট্রেনও এ্যাকসিডেন্ট হয়। শাহজাহান কামাল আরও বলেন, ‘আরেক ভাই বলেছেন যে, শাহজাহান খান হলেন লঞ্চের মন্ত্রী, পানির মন্ত্রী, নৌ পরিবহন মন্ত্রী, আর আমি হলাম আকাশমন্ত্রী। আমাকে বিমানমন্ত্রী বলা হয়। কিন্তু ২০০৭ সালে বিমান কোম্পানি হয়, প্রাইভেট সেক্টর বলা চলে। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি করে দেয়া হয়েছিল। কেন করে দেয়া হয়েছিল, সরকারের যখন এটা চালানোর সক্ষমতা নেই কিন্তু আপনারা (অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিমান কর্মকর্তা) তো সেটা দেখাতে পারলেন না। ২০০৭ সালের পরে আজকে ২০১৮ সাল, এখন পর্যন্ত শুধুই লসই দিচ্ছেন। টিকিটের জন্য গত সপ্তাহেও আমাকে বলা হয়েছে। আপনাদের কাছে টিকিট আছে, আপনারা প্যাসেঞ্জারকে বলেন যে, টিকিট নাই। এই যে চুরি, এই যে ডাকাতি, এটা কেন হচ্ছে। এর জন্য কারা দায়ী? আমার কাছে মঙ্গলবার একজন প্যাসেঞ্জার বলেছেন, উনি (প্যাসেঞ্জার) লন্ডনে যাবেন। উনি টিকিট চেয়েছেন কিন্তু টিকিট নাই। পরে আকাশে ওড়ার আগে একজন প্যাসেঞ্জার বলল, বিজনেস ক্লাসের ছয়টা সিট খালি আছে। এটা বিশ্বাসঘাতকতা জাতির জন্য। এটা মুনাফিকি। শাহজাহান কামাল বলেন, ‘আমাকে বিমানমন্ত্রী বলা হয়। আমি দুঃখের সঙ্গে বলি, আমার কী দায়িত্ব আছে। বিমানের ম্যানেজিং ডাইরেক্টরকে পুনঃনিয়োগ করা হয়েছে আমি জানি? আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে? একবার আমাকে জিজ্ঞাসা করলে অন্তত আমার স্যাটিসফেকশন হতো। ১০ বছর করুক, আমাকে তো জিজ্ঞাসা করা হয়নি। আমি বিমানমন্ত্রী, আমি বাংলাদেশ বিমানের মন্ত্রী না। আমি হচ্ছি বেসরকারী যারা, রিজেন্ট আছে, ইউএস-বাংলা আছে, নভো, ইন্ডিগো, আমি তাদের মন্ত্রী। এটা শুনলে প্রধানমন্ত্রী হয়ত আমার ওপর রাগ করতে পারেন। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজাহান কামাল জনকণ্ঠকে বলেন, আমি এখন ধৈর্য ধরে আছি। প্রধানমন্ত্রী ফিরে আসুক, যাই করি উনার সঙ্গে পরামর্শ করেই বলব। আপনারা আমার সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। উনিও বিমান বোর্ডের মেম্বার। এত বড় সিদ্ধান্ত নেয়া হলো উনিও কিছুই জানেন না।
×