ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলীতে খাতা উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ৮ এপ্রিল ২০১৮

আমতলীতে খাতা উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা আমতলী থেকে জানান, আমতলী উপজেলার এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজী প্রথমপত্রের একটি খাতা উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার আমতলী সরকারী কলেজ ভেন্যুর ১০২নং কক্ষ থেকে এ খাতা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই কক্ষে দায়িত্ব পালনকারী তিন শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সরোয়ার হোসেন। জানা গেছে, আমতলী সরকারী কলেজ ভেন্যুতে ৪টি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত বৃহস্পতিবার ইংরেজী প্রথমপত্র বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। ওই ভেন্যুর ১০২নং কক্ষে ইংরেজী প্রথমপত্র বিষয়ে ৮৭ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। ওই কক্ষে আমতলী সরকারী কলেজের রসায়ন বিষয়ের প্রভাষক মোঃ সাইফুর রহমান, টিয়াখালী কলেজের প্রভাষক তৌহিদুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম দায়িত্বপালন করেছিলেন। পরীক্ষা শেষে ইউনুস আলী খান কলেজের এক পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্রের খাতা কক্ষে রেখে বাকি খাতা দায়িত্বরত শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেন। শনিবার ইংরেজী দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসা পরীক্ষার্থীরা ওই উত্তরপত্রের খাতা উদ্ধার করে সরকারী কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ইউসুফ মিয়ার হাতে দেয়। পরে ইউসুফ ভেন্যুতে কর্তব্যরত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে খাতা জমা দেয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ঘটনা আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সরোয়ার হোসেনকে অবহিত করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার দায়িত্ব গাফিলতিতে ওই কক্ষের কর্তব্যরত তিন শিক্ষক মোঃ সাইফুর রহমান, তৌহিদুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক পরবর্তী সকল পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। ওই খাতাটি বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পরামর্শ মোতাবেক বোর্ডে পাঠান হয়েছে। চাঁদপুরে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাংচুর নিজস্ব সংবাদদাতা চাঁদপুর থেকে জানান, সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ ডিগ্রী কলেজে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-এর গাড়ি ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুর ১টার পরে কলেজের সামনে থাকা গাড়িটি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে সামনে ও পেছনের গ্লাস ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়। বালিয়া ইউনিয়নের সচিব মনসুর জানান, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা) অভিষেক দাশ দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি কোন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার কিংবা কোন ধরনের শাস্তি দেননি। কিন্তু তিনি কেন্দ্রের কক্ষগুলো ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন। এতে করে শিক্ষার্থীরা কোন ধরনের ‘উপায়’ অবলম্বন করতে ব্যর্থ হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই একযোগে শত শত শিক্ষার্থী ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়িটি ভাংচুর করে।
×