জবি সংবাদদাতা ॥ বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ঐক্যের অভাবে হাজার বছর ধরে বাঙালি জাতি শাসিত ও শোষিত হয়েছে। হাজার বছরে বঙ্গবন্ধু একমাত্র ব্যক্তি যিনি ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে নারী-পুরুষ, ধনী-দরিদ্র, শিশু-বৃদ্ধ সকলকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন ৭১’এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়। বাঙালির স্বাধীনতার জন্য যা হয়েছিল তা সবই বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে হয়েছিল। বুধবার বেলা ২টায় জবি শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার শুরুতে নেপালে বিমান দূর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় মন্ত্রি আরো বলেন, এই উত্তাল মার্চেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু এমনই একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন তাকে কখনই মুছে ফেলা যাবে না। বঙ্গবন্ধু কখনও কোন অন্যায়ের সাথে আপোস করেননি। মৃত্যুর কাছে বার বার গিয়েও তিনি আপোস করেনি। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্ম মাস ও স্বাধীনতার মাসে আমাদের বঙ্গবন্ধুর মতো উদার ও সাহসী হয়ে দেশ গঠনে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডটির স্বাধীনতার ও আধুনিক রাষ্ট্রের জনক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দার্শনিক হেগেন-এর মতে, কোন জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হচ্ছে রাষ্ট্র তৈরি করা; সেই রাষ্ট্রটা বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়ে গিয়েছেন। ৭৫’ এর ১৫ আগস্ট সেই রাষ্ট্রটাকে আমরা হারিয়ে ফেলি। ১৫ আগস্ট কেবলমাত্র সামরিক অভ্যুত্থান নয়, ঐ সময় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রায়ই সামরিক অভ্যুত্থান হত। বিশেষ করে আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং আমাদের এশিয়া মহাদেশে- সেই সময় এটা নিত্ত নৈমত্তিক ব্যাপার ছিল। সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষমতার বদল হত- কিন্তু ৭৫’ এর ১৫ আগস্ট পরবর্তী সময় শুধু ক্ষমতা নয় পূর্ব পাকিস্তান কায়েম করা হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন ঘটে রাজনৈতিক স্থিতিশলীতার মধ্য দিয়ে। আগামী নির্বাচনের আগেই সবার কাছে এ বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।
এছাড়া জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল-এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস. এম. জাকির হোসাইন।আলোচনা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।